টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

সল্ট-বেয়ারস্টো ঝড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড

সেন্ট লুসিয়ায় সুপার এইটের ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতেছে ৮ উইকেটে। ক্যারিবিয়ানদের ১৮০ রান পেরিয়ে গেছে ১৫ বল আগে। রান তাড়ায় ওপেনার সল্ট ৪৭ বলে অপরাজিত ছিলেন ৮৭ রানে। ২৬ বলে ৪৮ করে তাকে সহায়তা যোগান বেয়ারস্টো।
phil salt

ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে বিশাল পুঁজির সম্ভাবনা জাগিয়েও দুইশোর নিচে থামল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের দেওয়া চ্যালেঞ্জ যে খুব শক্ত না সেটা পরে বুঝিয়ে দিলেন ফিল সল্ট ও জনি বেয়ারস্টো। এই দুজনের তাণ্ডবে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনায়াসে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।

সেন্ট লুসিয়ায় সুপার এইটের ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতেছে ৮ উইকেটে। ক্যারিবিয়ানদের ১৮০ রান পেরিয়ে গেছে ১৫ বল আগে। রান তাড়ায় ওপেনার সল্ট ৪৭ বলে অপরাজিত ছিলেন ৮৭ রানে। ২৬ বলে ৪৮ করে তাকে সহায়তা যোগান বেয়ারস্টো।

গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে উঠা নিয়ে শঙ্কা ছিলো ইংল্যান্ড। তা উড়িয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা শিরোপা ধরে রাখার মিশনে দিল বার্তা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুঁজি যে যথেষ্ট হয়নি এটা টের পাওয়া যায় ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের শুরুতেই। ১৮১ রানের লক্ষ্যে সল্ট-বাটলার মিলে চার-ছক্কায় তুলেন ঝড়। পাওয়ার প্লেতে আসে বিনা উইকেটে ৫৮ রান।

পাওয়ার প্লেতে যথেষ্ট রান আসে মূলত সল্টের ঝাঁজে। অধিনায়ক বাটলারও থিতু হয়ে গিয়েছিলেন, তবে পাওয়ার প্লের পর পর রোস্টন চেজ এসে ফেরান ইংল্যান্ড অধিনায়ককে। তিনে নেমে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও পারেননি মঈন আলিও। আন্দ্রে রাসেলের বলে থামতে হয় তাকে।

মঈনের বিদায়ের সময় কিছুটা ট্রিকি ছিলো ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতিকে আর একটু কঠিন হতে দেননি বেয়ারস্টো। ডাগআউটে বসেই তেতে ছিলেন, অন্তত চেহারা দেখে মনে হয়েছে তেমনই।  ক্রিজে এসেই দেখান বারুদ, চালান তান্ডব। সল্টকে ছাপিয়ে যাচ্ছিলেন চার-ছক্কার ঝলকে। 

তবে স্ট্রাইক পেয়ে তাকে ছাপিয়ে যেতে দেননি সল্ট।  ৩৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করা ওপেনার এক  ওভারেই বাড়িয়ে নেন স্ট্রাইকরেট, ম্যাচ করে দেন পানসে। ১৬তম ওভারে সল্টের হাতে তিন চার, দুই ছক্কা ৩০ রান দেন রোমারিও শেফার্ড। ম্যাচ তখনই প্রায় শেষ। বেয়ারস্টো পরে আর ফিফটি করারই সুযোগ পাননি।

টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে দুরন্ত শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।  ব্র্যান্ডন কিং-জনসন চার্লস মিলে তুলতে থাকেন ঝড়। কিন্তু কিং আটকে যান চোটে। ১৩ বলে ২৩ করা এই ব্যাটার কুঁচকিতে টান পড়ে বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে।

অনাকাঙ্ক্ষিত ধাক্কায় ইনিংস শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এরপর জনসন চার্লসের সঙ্গে মিলে টানতে থাকেন নিকোলাস পুরান। তবে শুরুর আগ্রাসন কমে যায়। দুজনেই ডট বলের চাপ বাড়ান।

দ্বাদশ ওভারে দলের ৯৪ রানে চার্লসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মঈন আলি। ৩৪ বলে ৩৮ করেন ক্যারিবিয় ওপেনার।  অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল নেমে পড়তি রানরেট তোলার চেষ্টা চালান প্রবলভাবে। তার উপস্থিতিতে রান বাড়ে দ্রুত। ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৩৬ করে লিয়াম লিভিংস্টোনের স্পিনে তিনি ফিরলে ফের থমকে যায় স্বাগতিক দল।  আরেক দিকে পুরান আর ঝড় তুলতে পারেননি। ৩২ বল লাগিয়ে ৩৬ রান করে তিনি বিদায় নেন।

আন্দ্রে রাসেল ক্রিজে এসেই শিকার হন আদিল রশিদের। শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান বাড়ানোর নায়ক শেরফাইন রাদারফোর্ড। ১৫ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ২৮ রান করেন তিনি। তবু দুইশোর বেশ নিচে আটকে যাওয়ায় ভালো বোলিং দরকার ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তারা সেটার ধারেকাছ দিয়েও থাকতে পারেনি।

Comments

The Daily Star  | English

Inside the lives of RMG workers

In the shadowy predawn hours, the air in Ashulia, a small industrial town on the outskirts of Dhaka, is thick with anticipation.

14h ago