টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

শান্ত-হৃদয়ের ব্যাটে বাংলাদেশের ১৪০ রানের পুঁজি, কামিন্সের হ্যাটট্রিক

Najmul Hossain Shanto

ব্যবহৃত উইকেটে আগে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হলো না জুতসই। তানজিদ হাসান তামিম আবার ফিরলেন খালি হাতে। বাজে ছন্দ কাটিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত রানের দেখা পেলেও আরেক পাশে ধুঁকলেন লিটন দাস। শান্তর চল্লিশ ছাড়ানো ইনিংসের পর তাওহিদ হৃদয় ছাড়া আর কেউই খেলতে পারলেন না জুতসই। এরমধ্যে ডেথ ওভারে হ্যাটট্রিক করে বসেন প্যাট কামিন্স। উইকেট কিছুটা মন্থর। তবে দেড়শো নিচে পুঁজি বাংলাদেশ কতটা লড়াই করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে।

অ্যান্টিগায় সুপার এইটের ম্যাচে আগে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশ করেছে  ১৪০ রান। দলের হয়ে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন অধিনায়ক শান্ত। হৃদয় করেন ২৮ বলে ৪০। হ্যাটট্রিকসহ ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অজিদের সফল বোলার কামিন্স। 

ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিচেল স্টার্কের সোজা বল সামান্য নিচু হয়েছিলো, ডিফেন্স করতে গিয়ে সামলাতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন তিনি।

ক্রিজে এসেই মিচেল স্টার্ককে চার মেরে শুরু করেন শান্ত। আরেক প্রান্তে লিটন তখন খোলসবন্দি। জশ হ্যাজেলউডকে প্রথম ওভার দেন মেডেন। ১০ বলে গিয়ে করেন ১ রান। এরপর কিছুটা ডানা মেলে মিচেল স্টার্কের বলে বের করেন দুই বাউন্ডারি।

শান্ত ছিলেন সাবলীল, রানের খোঁজে থেকে গতি বাড়ান নিয়মিত। অ্যাডাম জাম্পাকেও সুযোগ পেয়ে মারেন চার। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৩৯ তুলে বাংলাদেশ। লিটন পাওয়ার প্লের পরও ভুগতে থাকেন। একের পর এক ডটের চাপ তাকে ও দলকে দেয় অস্বস্তি। সেই অস্বস্তি দূর করতে অ্যাডাম জাম্পাকে স্লগ সুইপ মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ডানহাতি ব্যাটার। ২৫ বলের উপস্থিতিতে তিনি করেন স্রেফ ১৬ রান।

দ্রুত রান আনার চিন্তায় চারে রিশাদ হোসেনকে নামিয়ে দেয় বাংলাদেশ, কিন্তু লাভ হয়নি। তিনি ৪ বলে ২ রান করে দেন ক্যাচ। অধিনায়ক দিচ্ছিলেন আস্থা, তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ইনিংস টানার পথে ছিলেন তিনি। তবে বাজে ছন্দ থেকে বেরিয়ে ফিফটি পাওয়া হয়নি তার। জাম্পার বলে ৩৬ বলে ৪১ রান করে হন এলবিডব্লিউ।

সাকিব আল হাসান এসেও ধুঁকতে থাকেন। জড়তা কাটিয়ে মারার চিন্তায় যেতে পারেননি তিনি। ১৭তম ওভারে মার্কাস স্টয়নিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার সময় তার রান ১০ বলে ৮। আরেক পাশে হৃদয় তখন থিতু, যদিও শুরুতে তিনিও খেলছিলেন বেশ সতর্ক হয়ে। অবশ্য শেষ দিকে তিনিই মেলে ধরেন ডানা। বাড়াতে থাকেন রান। যদিও শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি। 

বাংলাদেশ দেড়শো ছাড়াতে পারেনি কারণ অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও এদিন ব্যর্থ (৩ বলে ২)। কামিন্সের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে স্টাম্পে নামিয়ে বোল্ড তিনি। মাহমুদউল্লাহকে ফেরানোর পরের বলেই শেখ মেহেদীকে আউট করেছিলেন কামিন্স। সেটা ছিলো ওভারের শেষ বল।  হ্যাটট্রিকের সুযোগ আসে তার পরের ওভারে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন অজি পেসার। কামিন্সকে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ধরা দেন ২৮ বলে ৪০ করা হৃদয়।

Comments

The Daily Star  | English

Trump says not yet made decision on whether to attack Iran

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

1d ago