ঢাকা টেস্টে থাকবেন তো অলরাউন্ডার সাকিব?

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বিনোদন যোগানো ইনিংস ছাড়া সাকিব আল হাসানকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। কাঁধের চোটের কারণে প্রথম ইনিংসে ১২ ওভারের পর আর বল করেননি। ফিল্ডিংয়ে মাঠে থাকলেও তার শরীরী ভাষায় দেখা গেছে নিস্তেজ ভাব। ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের খেলা নিয়ে তাই অনিশ্চয়তা কাটছে না।
চট্টগ্রাম টেস্টের আগের দিন নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আসার কথা ছিল সাকিবের, কিন্তু তার দেখা পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওইদিনই অনুশীলনে নামার আগে স্ক্যান করাতে হাসপাতালে গিয়ে খবর হন তিনি। ফিরে এসে শঙ্কা পার করে করেন ব্যাটিং অনুশীলন। ম্যাচ খেলতে নামলেও পুরো ফিট সাকিবকে পাওয়া যায়নি।
১৮৮ রানের বড় ব্যবধানে হারার পরও অধিনায়ক সাকিব আসেননি সংবাদ সম্মেলনে। টেস্টের আগের দিনের মতো দলের হয়ে কথা বলতে আসেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
কাঁধ ও পাঁজরের চোটে ভুগতে থাকা সাকিব কি ঢাকা টেস্টে খেলবেন? এই প্রশ্নের সুরাহা দিতে না পারলেও কেবল বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে হলেও সাকিবকে দলে চান তিনি, 'আমি এখনও শতভাগ নিশ্চিত নই সে (মিরপুর টেস্টে) বোলিং করতে পারবে কি না। তবে অবশ্যই ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবে। এটি অবশ্যই আমাদের জন্য চিন্তার কারণ। কারণ সে একজন অলরাউন্ডার। আমাদের একজন অলরাউন্ডার প্রয়োজন। আমাদের আগামী ২-৩ দিন তাকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এই মুহূর্তে সে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার জন্য ফিট আছে।'
ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে কেবল ব্যাটার হিসেবে সাকিব খেললে একাদশের সমন্বয়েও আসবে বদল। ইয়াসির আলি রাব্বি বা নুরুল হাসান সোহানের কাউকে বাদ দিয়ে বাড়তি একজন বোলার খেলাতে হবে বাংলাদেশকে।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৫ বলে স্রেফ ৩ রান করে আউট হন সাকিব। এর আগে ১২ ওভার বল করে ছিলেন উইকেটশূন্য।
ফিল্ডিংয়ে থাকলেও মাঠে তার উপস্থিতি খুব একটা সরব ছিল না। দলের ডিআরএসের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ও তাকে সেভাবে সম্পৃক্ত দেখা যায়নি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে সাকিব খেলেছেন ১০৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। তবে তার এই ইনিংসের আগেই ম্যাচের গতিপথ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়। শেষ দিনে টেল এন্ডারদের নিয়ে চার-ছক্কায় কিছুটা বিনোদন যোগান তিনি। ৮৪ রানের ইনিংসে ৬টি করে চার-ছক্কা মেরেছেন সাকিব।
খেলা শেষ করে নিজের ও দলের ভাবনা জানাতে ভারত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল সংবাদ সম্মেলনে এলেও, সাকিব এই আনুষ্ঠানিকতাকে উপেক্ষা করে গেছেন।
Comments