‘স্বচ্ছতার চেয়ে বরং সংশয় তৈরি করবে এডিআরএস’
ডিআরএস নেই, তাই এবারও বিপিএলে বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছিল বিসিবি। যেটিকে তারা বলছে, অল্টারনেটিভ ডিআরএস বা এডিআরএস। তবে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতায় এটি নিয়ে তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ঢাকা ডমিনেটর্সের সৌম্য সরকার নেওয়া রিভিউতেও তৈরি হয় তেমন পরিস্থিতি। ম্যাচ হারার পর খুলনার ডাচ তারকা পল মেকেরিন জানান, বিসিবির প্রযুক্তি স্বচ্ছতার চেয়ে বরং সংশয় তৈরি করবে বেশি।
খুলনার বিপক্ষে ১১৪ রান তাড়ায় থাকা ঢাকার পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের ঘটনা। নাসুম আহমেদের বলে সুইপ মারতে গিয়ে পরাস্ত হন সৌম্য। মাঠের আম্পায়ারের বোলারের এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিকে তাৎক্ষণিকভাবে রিভিউ নেন সৌম্য। এরপরই তৈরি হয় অস্পষ্টতা। টিভি রিপ্লেতে দেখে বল সৌম্যের গ্লাভস ছুঁয়ে গিয়েছিল কিনা, কিংবা পায়ে লেগেছিল কিনা তার কিছুই পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
কিছুটা সময় নিয়ে টিভি আম্পায়ার ডেভিড মিলন্সের থেকে সিদ্ধান্ত পেয়ে আউট জানান মাঠের আম্পায়ার। তখন আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় সৌম্যকে। খানিক পর আবার নট আউটের সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়ার। এরপর খুলনার ইয়াসির আলি, তামিম ইকবালরা আম্পায়ারের সঙ্গে জড়ান তর্কে। সাধারণত মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদল হতে গেলে দরকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ।
৪ ওভার বল করে এই ম্যাচে ১৮ রানে ১ উইকেট নেওয়া মেকেরিন সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির প্রযুক্তির সমালোচনা করেছেন, 'প্রথমে তাকে (সৌম্য) আউট দেওয়া হয়। রিভিউ নেওয়ার পরেও আউট বহাল রাখা হয়েছিল। পরেই আবার বলা হয় নট আউট! ব্যক্তিগতভাবে আমি নিশ্চিত নই এটি আসলে রিভিউ সিস্টেম কি না। কারণ এতে হক আই বা অন্যান্য পরিপূর্ণ প্রযুক্তি নেই।'
'বিষয়টি আসলে এরকমই। যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এটি স্বচ্ছতার থেকে বরং সংশয় তৈরি করবে বেশি। ব্যক্তিগতভাবে আমি এমনটাই মনে করি। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান উচিত আমাদের।'
রিভিউ চেক করে একবার আউট বহাল রাখার পরেও কেন সিদ্ধান্ত বদলে গেল তা জানতে চেয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন তামিম, ইয়াসিররা। তবে কি কথা হয়েছিল দূরে থাকায় তা জানতে পারেননি মেকেরিন, 'আমি তখন লং অনে ছিলাম। জানি না তখন ঠিক কি কথা হচ্ছিল। তবে আমাদের দলের খেলোয়াড়দের দেখাছি এটা নিয়ে তারা খুশি নয়। কারণ সে (সৌম্য) বিপজ্জনক খেলোয়াড়। যাইহোক, আমাদের সামনে তাকাতে হবে এবং ম্যাচ জয়ের চেষ্টা করতে হবে।'
৫ রানে বেঁচে গিয়ে এদিন পরে ১৬ রান করে আউট হন সৌম্য। ১১৪ রান তাড়ায় পরে শেষ ওভারে গিয়ে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ঢাকা।
গত আসরের মতো এবারও বিপিএলে ডিআরএস আনতে পারেনি বিসিবি। এই নিয়ে চলছে সমালোচনা। বিকল্প হিসেবে তারা যে প্রযুক্তি রেখেছে তাতে নেই স্নিকো মিটার, আল্ট্রা এজ , বল ট্রেকিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি। ফলে এলবিডব্লিউর বেলায় ইন লাইন বোঝা ছাড়া আর কিছুই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কট বিহাইন্ডের বেলায় নির্ভর করতে হচ্ছে কেবল শব্দের উপর।
Comments