পাওয়ার হিটার তৈরিতে ভালো উইকেটের বিকল্প দেখছেন না জিয়া
সংস্করণটা যখন টি-টোয়েন্টি, তখন বরাবরই বাংলাদেশের জন্য আক্ষেপের নাম পাওয়ার হিটিং। দুই-একজন ছাড়া ধুমধাড়াক্কা চার-ছক্কা মারার মতো খেলোয়াড় খুঁজেও পাওয়া যায় না। তবে এবার বিপিএলের শুরুতেই আলো ছড়িয়েছেন তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসানদের মতো তরুণরা। ভালো উইকেট পেয়েই তারা জ্বলে উঠেছেন বলে মনে করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান। ভালো উইকেট না তৈরি হলে পাওয়ার হিটার বের করা অসম্ভব বলেই মনে করেন তিনি।
মূলত মন্থর উইকেটের কারণে বিপিএলে টি-টোয়েন্টির আমেজ থেকে বঞ্চিত হতেন সমর্থকরা। তাতে দেশি ব্যাটার তো বটেই বিদেশি নাম করা অনেক ব্যাটারও সংগ্রাম করেছেন এ আসরে। তবে এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। চট্টগ্রাম তো বটেই মিরপুরের নিয়মিত দেখা মিলেছে রানের। ভালো উইকেট পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ব্যাটাররা। বিশেষকরে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। তরুণরাও টি-টোয়েন্টির আমেজে ব্যাট চালাতে পারছেন।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের কাছে ২৬ রানে হারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বরিশালের দেওয়া ২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৬ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিক দলটি। তবে এক প্রান্তে ঝড় তুলে চেষ্টা চালিয়েছিলেন জিয়া। ২৫ বলে খেলেন হার না মানা ৪৭ রানের ইনিংস। ৩টি চারের সঙ্গে মারেন ৪টি বিশাল ছক্কা।
জিয়ার এমন ইনিংসের পর আলোচনায় সেই পাওয়ার হিটার নিয়ে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের এ জায়গায় ঘাটতির কারণ জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। উত্তরে এ ব্যাটার বলেন, 'পাওয়ার হিটিং আমি যেটা অনুভব করি, মিরপুরের শেষ দুইটা ম্যাচ হয়েছে রান কিন্তু ১৮০-১৯০ হয়েছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা কিন্তু অনেক ভালো খেলেছে। তৌহিদ হৃদয়, জাকির ওরা কিন্তু অনেক ভালো খেলেছে। আমি যেটা মনে করি, পাওয়ার হিটিংয়ে আমাদের সমস্যা হচ্ছে উইকেট।'
'উইকেট ভালো না হলে আপনি পাওয়ার হিট করতে পারবেন না। ব্যাটে সুন্দর বল আসলেই আপনি হিট করতে পারবেন। মিরপুরের উইকেট সুন্দর ছিল। রান কিন্তু ঠিকই হয়েছে। এখানে সুন্দর উইকেট। অভ্যাসটা গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট ভালো হবে, অটোমেটিক হিট ভালো হবে। উইকেট ভালো না হলে হিট ভালো হবে না। যতই টেকনিক ঠিক করেন না কেন। কোনো লাভ নেই। ব্যাটে বল আসতে হবে,' যোগ করেন জিয়া।
Comments