কোহলির সেঞ্চুরির পর ভুবনেশ্বরের স্যুইংয়ে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান

Bhuvneshwar Kumar

দু'দলই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ায় ম্যাচটা ছিল নিয়মরক্ষার। বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে এই ম্যাচে দীর্ঘ খরা কাটানোয় সবটা আলো নিজের দিকে কেড়ে নিলেন বিরাট কোহলি। বিশাল রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে কোন দিশা পেল না আফগানিস্তান। ভুবনেশ্বর কুমারের স্যুইং বোলিংয়ের পসরায় একদম পেরে উঠেনি তারা।

বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ১০১  রানে বিধ্বস্ত করেছে ভারত। কোহলির ৬১ বলে ১২২ রানে ভর করে ভারত করেছিল ২১২ রান। জবাব দিতে নেমে ২১ রানে ৬ উইকেট হারানো আফগানরা পরে ইব্রাহিম জাদরানের ফিফটিতে করে ১১১ রান।

আফগানদের অল্প রানে আটকে দিতে ক্যারিয়ার সেরা বল করেছেন ভুবনেশ্বর। ৪ ওভার বল করে স্রেফ ৪ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৫ উইকেট। এমন বোলিং করেও অবশ্য কোহলির রাজকীয় দিনে ঢাকা পড়ে যেতে হবে তাকে।

২১৩ রান তাড়ায় গিয়ে প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বরের তোপে পড়ে আফগানিস্তান।  হজরতুল্লাহ জাজাই ও রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে তুলে নেন তিনি। জাজাই হন এলবিডব্লিউ। ভেতরে ঢোকা বলে স্টাম্প খোয়ান রাহমানুল্লাহ।  তৃতীয় ওভারে করিম জানাত ভুবনেশ্বরের বলে স্লিপে ধরা দেন কোহলির হাতে। ওই ওভারেই নাজিবুল্লাহ জাদরান হন এলবিডব্লিউ। পরের ওভারে মোহাম্মদ নবিকে তুলে নেন আর্শদিপ সিং। আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে তুলে পরে পঞ্চম শিকার ধরেন ভুবনেশ্বর। 

২১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা আফগানরা এই ম্যাচে আর কিছু করার অবস্থায় ছিল না। তিন নম্বরে নামা  ইব্রাহিম জাদরান যদিও শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে দেননি।  তার ৫৯ বলে ৬৪ রান হারের ব্যবধানই কমিয়েছে কেবল।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে দুর্দান্ত শুরু পায় ভারত। রোহিত শর্মা না থাকায় লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে যান কোহলি। ক্ষুরধার ব্যাটে তিনি ক্রমেই হয়ে উঠেন বিস্ফোরক। ১১৯ রানের জুটির পর রাহুল ৬১ করে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। সূর্যকুমার যাদবও এসে দ্রুত ফিরে যান। 

রিশভ পান্তকে একপাশে রেখে গড়েন ৪২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানের আরেক জুটি। যাতে পান্তের অবদান কেবলই ২০। ২৬ বলে ওই জুটির ৬৬ আসে কোহলির ব্যাটে। 

Virat Kohli

৩১ বলে ফিফটিতে যাওয়া কোহলি বাকি ৭৬ রান তুলেন স্রেফ ৩০ বলে। ফরিদ আহমেদকে চার ও ছক্কায় ৯০ থেকে ৫৩ বলে পৌঁছান তিন অঙ্কে।  দুহাত উঁচিয়ে কাটান ১ হাজার ১৯ দিনের খরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি কোহলির প্রথম সেঞ্চুরি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৭১তম। 

২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বরের পর আর সেঞ্চুরি পাচ্ছিলেন না তিনি। এবার এশিয়া কাপে তার দলে থাকা নিয়েও কথা উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত দুই ফিফটি আর এক সেঞ্চুরিতে আসরে সর্বোচ্চ রানেরও চূড়ায় বসলেন তিনি। 

তবে কোহলি সেরা ছন্দে ফিরলেও তার দল যেতে পারল না এশিয়া কাপের ফাইনালে। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেই বিদায় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। পরে পাকিস্তান নাটকীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারালে বিদায় নেয় ভারত। নিয়মরক্ষার ম্যাচে কোহলির সেঞ্চুরি আর ভারতের বড় জয় কেবল দলটির জন্য হয়ে থাকবে সান্ত্বনা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

9h ago