পরিসংখ্যান: এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

এশিয়া কাপের কেবল একটি আসরে খেলেনি বাংলাদেশ।
ছবি: সম্পাদিত

এশিয়া কাপের ১৬তম আসর শুরু হবে আগামী ৩০ অগাস্ট। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এবারের আসরটি হবে ওয়ানডে সংস্করণের। বাংলাদেশ মাঠে নামবে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে। সেদিন ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দল।

প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে স্বাগতিক হিসেবে থাকছে দুটি দেশ। পাকিস্তানে আয়োজিত হবে চারটি ম্যাচ। শ্রীলঙ্কায় হবে বাকি নয়টি। পুরো আসরটি পাকিস্তানে হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে দেশটিতে যেতে রাজী নয় ভারত। তাই হাইব্রিড মডেলে দুটি দেশকে আয়োজক করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।

এশিয়া কাপের আগের ১৫ আসরের মধ্যে দুটি হয়েছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। বাকি ১৩টি ছিল ওয়ানডে সংস্করণের।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান (সব মিলিয়ে):

* এশিয়া কাপের কেবল একটি আসরে খেলেনি বাংলাদেশ। ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিযোগিতাটির উদ্বোধনী আসরে যে তিনটি দল ছিল তারা হলো ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ১৯৮৬ সাল থেকে টানা অংশ নিয়ে যাচ্ছে।

* ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপে ৪৩ ম্যাচ খেলে সাতটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে বাকি ৩৬টিতে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সাত ম্যাচে তিন জয়ের বিপরীতে টাইগারদের হার চারটিতে।

* শিরোপা জেতার স্বাদ না পেলেও তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। দুবার ওয়ানডে সংস্করণে (২০১২ ও ২০১৮ সালে) ও একবার টি-টোয়েন্টি সংস্করণে (২০১৬ সালে) রানার্সআপ হয়েছে তারা।

* সর্বোচ্চ পাঁচবার এশিয়া কাপের স্বাগতিক হিসেবে থেকেছে বাংলাদেশ। ১৯৮৮ সালে প্রথমবার প্রতিযোগিতাটির আয়োজক ছিল তারা। এক যুগের ব্যবধানে ২০০০ সালে ফের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে। এরপর টানা তিনটি আসরে (২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬) স্বাগতিক ছিল তারা।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান (ওয়ানডে সংস্করণে):

* এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন সাবেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। ১৮ ম্যাচে ৩৬.১৮ গড়ে তিনি পেয়েছেন ২২ উইকেট। এই তালিকায় দুইয়ে আছেন সাকিব (১৩ ম্যাচে ১৯ উইকেট) ও তিনে মাশরাফি বিন মর্তুজা (১৯ ম্যাচে ১৮ উইকেট)।

* বাংলাদেশের কোনো বোলার এশিয়া কাপের এক ম্যাচে ৫ উইকেট নিতে পারেননি। ৪ উইকেট করে নিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন সাইফুল ইসলাম, সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।

* এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জার্সিতে সেরা বোলিং ফিগার সাবেক পেসার সাইফুলের দখলে। ১৯৯৫ সালে শারজাহতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬ রানে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।

* বাংলাদেশের পক্ষে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিম। ২১ ম্যাচে ৩৬.৭৮ গড় ও ৮৪.৫২ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন ৬৯৯ রান। তার নামের পাশে আছে দুটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি। এই তালিকায় তামিম ইকবাল (১৩ ম্যাচে ৫১৯ রান) দুইয়ে ও সাকিব (১৩ ম্যাচে ৪০২ রান) তিনে আছেন।

* এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক মুশফিক। ২০১৮ সালে দুবাইতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৪ রান করেছিলেন তিনি। ১৫০ বল মোকাবিলায় তিনি মেরেছিলেন ১১টি চার ও চারটি ছক্কা।

* বাংলাদেশের পাঁচ ব্যাটার এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। সর্বোচ্চ দুটি শতরানের ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। একটি করে সেঞ্চুরি আছে লিটন দাস, অলক কাপালি, মোহাম্মদ আশরাফুল ও এনামুল হক বিজয়ের।

* ন্যূনতম ১০০ রান করা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট সাকিবের (১০৩.০৭)। মোট ৩৯০ বল মোকাবিলায় তিনি করেছেন সব মিলিয়ে ৪০২ রান।

* এশিয়া কাপে উইকেটরক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল মুশফিকের। ২১ ম্যাচে তার ডিসমিসাল সংখ্যা ১৭টি (১৪টি ক্যাচ, তিনটি স্টাম্পিং)।

* এশিয়া কাপে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ জুটির মালিক জুনায়েদ সিদ্দিকি ও ইমরুল কায়েস। ২০১০ সালে ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৬০ রান যোগ করেছিলেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago