পাওয়ার প্লেতে রেকর্ড ৮১ রান তুলল বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

রান তোলার জন্য খুবই উপযোগী উইকেটে শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব দুই ওপেনারের। লিটন দাসের পর রনি তালুকদারও চড়াও হলেন আয়ারল্যান্ডের বোলারদের ওপর। এতে পাওয়ার প্লেতে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছে স্বাগতিকরা। ইনিংসের প্রথম ছয় ওভারে তারা তোলে বিনা উইকেটে ৮১ রান। এই সংস্করণের ক্রিকেটে পাওয়ার প্লেতে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান তোলার কীর্তি। সেখানে লিটনের অবদান ১৯ বলে ৪০, রনির ১৭ বলে ৩৮ রান।

লিটন ও রনি ভেঙে দিলেন প্রায় দশ বছর ধরে টিকে থাকা রেকর্ড। ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেদিন টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।

ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে লং অন দিয়ে আইরিশ স্পিনার অফ হ্যারি টেক্টরকে ছক্কা হাঁকান লিটন। তখন থেকেই শুরু বাংলাদেশের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের। ওই ওভারে আসে মোট ১১ রান।

পেসার মার্ক অ্যাডায়ার পরের ওভারে এসে দেন ১৪ রান। আরেক পেসার গ্রাহাম হিউম তৃতীয় ওভারে ৮ রান দিয়ে বাংলাদেশের আগ্রাসনে কিছুটা বাঁধ সাধতে পারেন। তবে ক্রেইগ ইয়ংকে পেয়ে চড়াও হন দুই ওপেনার। লিটন মারেন একটি করে ছক্কা ও চার। চার আসে রনির ব্যাট থেকেও। সব মিলিয়ে ১৬ রান ওঠে ওই ওভার থেকে।

পঞ্চম ওভারে পাঁচ নম্বর বোলার হিসেবে লেগ স্পিনার গ্যারেথ ডেলানিকে আক্রমণে পাঠান আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিং। তাকেও হজম করতে হয় তেতে ওঠা ব্যাটের আঁচ। তিনি দেন ১২ রান।

সবচেয়ে বড় ঝড়টা যায় অ্যাডায়ারের ওপর দিয়ে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তাকে আক্রমণে ফেরানো হয়। তিনি রনির বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম বলে রনি হাঁকান যথাক্রমে ছয়, চার, চার ও চার। ওই ওভারে ২০ রান উঠলে নতুন কীর্তির স্বাদ নেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ:

লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।

Comments

The Daily Star  | English
political parties support election drive

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

17h ago