উত্তাল ব্যাটিংয়ের পর মাহমুদউল্লাহকে কৃতিত্ব দিলেন ফাহিম

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১৯৮ রানের বড় লক্ষ্য ছোঁয়ার চ্যালেঞ্জ। অথচ ১২.২ ওভারে ১১২ রানে পড়ে গেল ফরচুন বরিশালের ৬ উইকেট। এরপর যা ঘটল তা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আদর্শ বিজ্ঞাপন। হারের শঙ্কা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মাত্র ৫.৫ ওভারে ৮৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে জিতে গেল বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছোটালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফ।

সোমবার বিপিএলের একাদশ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে জিতেছে বরিশাল। তারা শেষ হাসি হেসেছে মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিমের উত্তাল ব্যাটের তাণ্ডবে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। তিনি ২৬ বল মোকাবিলায় মারেন পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কা। পাকিস্তানের অলরাউন্ডার ফাহিম করেন ২১ বলে অপরাজিত ৫৪ রান। তিনি একটি চারের সঙ্গে হাঁকান সাতটি ছক্কা।

রাজশাহীর পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ডেলিভারিতে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন ফাহিম। বল গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের ছাদে আছড়ে পড়ে চলে যায় একেবারে মাঠের বাইরে। শুরুতে অবশ্য ঠিকঠাক টাইমিং হচ্ছিল না তার। মুখোমুখি হওয়া প্রথম ৮ বলে ১ রান নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। কঠিন সময়ে তাকে সাহস যোগান মাহমুদউল্লাহ।

পরে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ জেতানো জুটির সঙ্গীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন ফাহিম, 'মাহমুদ ভাই জাদুকরী। প্রথম ৭ বা ৮ বলে আমার কেবল ১ রান ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, "কী হচ্ছে?" তিনি বলেছিলেন, স্রেফ উইকেটে যেন টিকে থাকি। এরকম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যখন সঙ্গে থাকে… নিজে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হলেও কিছু কিছু সময় এমন থাকে যে, প্রেরণাদায়ক কিছুর প্রয়োজন হয়। তার কথার পর আমি নিজেকে একটু সংযত করেছি, নিজের ওপর চাপ কম নিয়েছি। এরপর কাজ সহজ হয়ে গেছে।'

ফাহিম বলেছেন, সামনে কঠিন সমীকরণ থাকলেও স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছেন তারা, 'আমাদের পরিকল্পনা স্বাভাবিক ছিল। আগেও নানা সময়ে এরকম পরিস্থিতিতে আমরা খেলেছি। পিএসএলে, এমনকি বিপিএলেও অনেকবার হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে এসব হয়েই থাকে। আমাদের স্রেফ ভাবনা ছিল যে একটি বড় ওভার লাগবে। এরপর যেটা হয়েছে, একটির জায়গায় দুটি বড় ওভার পেয়ে গেছি। তাতে কাজ সহজ হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy

The number of Bangladeshis crossing the perilous Mediterranean Sea to reach Italy has doubled in the first two months this year in comparison with the same period last year.

8h ago