ইউরো

পরিসংখ্যানে স্পেন-ফ্রান্স লড়াই

রেকর্ড তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও দুইবারের ইউরোজয়ী ফ্রান্সের মধ্যকার প্রথম সেমিফাইনালের ভেন্যু মিউনিখ।
ছবি: এএফপি

পুরনো ধারা ভেঙে আক্রমণাত্মক কৌশল নিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে চলেছে স্পেন। এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে ছন্দে থাকা দল স্প্যানিশরাই। চলতি আসরের প্রথম সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। যদিও ফরাসিদের পারফরম্যান্স সেই অর্থে ফুটবলপ্রেমীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি, তারপরও ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জায়গা করে নেওয়া থেকে আন্দাজ করা যায় তাদের সামর্থ্য আসলে কতখানি।

দুই ফুটবল পরাশক্তির দ্বৈরথের ভেন্যু মিউনিখ। রেকর্ড তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও দুইবারের ইউরোজয়ী ফ্রান্সের ম্যাচ শুরু হবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায়।

চলমান ইউরোতে একমাত্র দল হিসেবে পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্পেন। যৌথ সর্বোচ্চ (১১টি) গোল তাদের নামের পাশে। আলভারো মোরাতার দল গ্রুপ পর্বে ক্রোয়েশিয়া, ইতালি ও আলবেনিয়াকে হারায়। এরপর শেষ ষোলোতে জর্জিয়া ও কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানিকে বিদায় করে দেয় তারা। 

ফ্রান্স সেমিতে এসেছে ওপেন প্লে থেকে কোনো গোল পাওয়া ছাড়াই। তাদের করা মাত্র ৩ গোলের একটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। বাকি দুটি উপহার (!) দিয়েছে প্রতিপক্ষ। তবে রক্ষণ জমাট রেখে এবারের আসরে সবচেয়ে কম (একটি) গোল হজম করেছে তারা। কিলিয়ান এমবাপের দল গ্রুপ পর্বে অস্ট্রিয়াকে হারালেও ড্র করে নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের সঙ্গে। আর শেষ ষোলোতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে জয়ের পর টাইব্রেকারে গড়ানো কোয়ার্টারে পর্তুগাল ছিটকে দেয় তারা।

পরিসংখ্যানে স্পেন-ফ্রান্স লড়াই:

* আন্তর্জাতিক মঞ্চে এর আগে মোট ৩৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই প্রতিবেশী স্পেন ও ফ্রান্স। সেখানে জয়ের পাল্লা ভারী স্প্যানিশদের পক্ষে। তাদের ১৬টি জয়ের বিপরীতে ফরাসিরা শেষ হাসি হেসেছে ১৩টি ম্যাচে। বাকি সাতটি লড়াই হয়েছে ড্র।

* গোলের বিবেচনায় আরও এগিয়ে স্পেন। এই ৩৬টি ম্যাচে লা রোহারা ৬৪টি গোল করেছে, ফরাসিরা জাল খুঁজে পেয়েছে ৩৯ বার।

* গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় (বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে) অবশ্য ফ্রান্সের সফলতার হার বেশি। পাঁচটি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতেছে লে ব্লুরা, স্প্যানিশদের জয় কেবল একটি। বাকিটি শেষ হয়েছে সমতায়।

* চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, ইউরোতে দুই দলের আগের তিনটি সাক্ষাতে যারা জিতেছে, তারাই শেষমেশ গিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

১৯৮৪ সালের আসরের ফাইনালেই তাদেরকে লড়তে দেখা গিয়েছিল। স্পেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ফ্রান্স। এরপর ২০০০ সালে ইউরোপের ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি পুনরুদ্ধারের পথে কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছিল ফরাসিরা।

স্প্যানিশরা ২০১২ সালে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে কোয়ার্টারেই ২-০ গোলে জিতেছিল ফ্রান্সের বিপক্ষে।

* দুই দলের লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড স্পেনের। ১৯২৯ সালে প্রীতি ম্যাচে ৮-১ গোলে ফ্রান্সকে বিধ্বস্ত করেছিল তারা।

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

9h ago