এক নজরে বিশ্বকাপের ৩২টি দলের সেরা সাফল্য

দুয়ারে কড়া নাড়ছে আরও একটি বিশ্বকাপ। আর কিছু দিন পরই মরুর বুকে বসতে চলেছে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ। কাতারেই এবার শেষবারের মতো ৩২টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে আসরটি। এ আসরকে সামনে রেখে এরমধ্যেই ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা উম্মাদনা। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক বিশ্বকাপ ইতিহাসে দলগুলোর সেরা সাফল্য কেমন।

দুয়ারে কড়া নাড়ছে আরও একটি বিশ্বকাপ। আর কিছু দিন পরই মরুর বুকে বসতে চলেছে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ। কাতারেই এবার শেষবারের মতো ৩২টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে আসরটি। এ আসরকে সামনে রেখে এরমধ্যেই ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা উম্মাদনা। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক বিশ্বকাপ ইতিহাসে দলগুলোর সেরা সাফল্য কেমন।

ইরান

সর্বোচ্চ সাফল্য - গ্রুপ পর্ব

(১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০৬, ২০১৪ ও ২০১৮)

এর আগে পাঁচবার অংশ নিয়ে গ্রুপ পর্ব উতরাতে পারেনি ইরান। ষষ্ঠবারে কী তারা সৌভাগ্যবান হবে?

কানাডা

সর্বোচ্চ সাফল্য - গ্রুপ পর্ব

(১৯৮৬)

৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেছে কানাডা। সবশেষ ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই হেরেছিল তারা। এমনকি একটি গোলও তারা দিতে পারেনি সেবার।

ইকুয়েডর

সর্বোচ্চ সাফল্য - শেষ ষোলো

(২০০৬)

চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ইকুয়েডর। এর আগের তিন আসরের মধ্যে কেবল ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পেরেছিল তারা। শেষ ষোলোর ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেয় দলটি।

সৌদি আরব

সর্বোচ্চ সাফল্য - শেষ ষোলো

(১৯৯৪)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই শেষ ষোলোতে উঠেছিল সৌদি আরব। কিন্তু এরপর আরও চারটি বিশ্বকাপে জায়গা পেলেও গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি তারা।

অস্ট্রেলিয়া

সর্বোচ্চ সাফল্য - শেষ ষোলো

(২০০৬)

পাঁচটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে কেবল একবারই গ্রুপ পর্ব পার হতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ সালে সেবার শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতে ইতালির কাছে হেরে বিদায় নেয় দলটি।

জাপান

সর্বোচ্চ সাফল্য - শেষ ষোলো

(২০০২, ২০১০ ও ২০১৮)

১৯৯৮ সালে প্রথমবার অংশ নিয়ে এরপর থেকেই নিয়মিতই বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে জাপান। এরমধ্যে তিনবার শেষ ষোলোতে উঠলেও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারেনি দলটি। এবার কি পারবে তারা?

মরক্কো

সর্বোচ্চ সাফল্য - শেষ ষোলো

(১৯৮৬)

ছয়টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে কেবল একবারই দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পেরেছে মরক্কো। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে সেবার ফাইনালিস্ট পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয় দলটি।

সেনেগাল

(২০০২)

সর্বোচ্চ সাফল্য – কোয়ার্টার ফাইনাল

বিশ্বকাপে অভিষেকেই চমক দেখায় সেনেগাল। ২০০২ সালে আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় করে দেয় দলটি। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে তুরস্কের কাছে হেরে থামে তাদের স্বপ্ন যাত্রা।

ওয়েলস

সর্বোচ্চ সাফল্য – কোয়ার্টার ফাইনাল

(১৯৫৮)

বিশ্বকাপে এর আগে একবারই খেলেছে ওয়েলস। সেবার তারা খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে। ১৯৫৮ সালের সে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ ড্র করে শেষ ষোলোতে উঠে হারিয়ে দেয় আগের আসরের ফাইনালিস্ট হাঙ্গেরিকে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যায় চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের কাছে।

মেক্সিকো

সর্বোচ্চ সাফল্য – কোয়ার্টার ফাইনাল

(১৯৭০ ও ১৯৮৬)

এখন পর্যন্ত দুইবার বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে মেক্সিকো। আর সে দুইবারই তারা খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে। গত সাতটি আসরে টানা দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েও উতরাতে পারছে না দলটি।

ডেনমার্ক

সর্বোচ্চ সাফল্য – কোয়ার্টার ফাইনাল

(১৯৯৮)

১৯৯২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি ডেনমার্ক। তবে পরের আসরে ফিরেই জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে।

কোস্টারিকা

সর্বোচ্চ সাফল্য – কোয়ার্টার ফাইনাল

(২০১৪)

২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ অব ডেথে পড়েছিল কোস্টারিকা। তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি, উরুগুয়ে ও ইংল্যান্ড ছিল তাদের গ্রুপে। কিন্তু চমক দেখিয়ে সে গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে নাম লেখায় তারা। শেষ ষোলোতে টাই-ব্রেকারে গ্রিসের বিপক্ষে জিতলেও কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আরও একটি টাই-ব্রেকারে হেরে যায় তারা।

সুইজারল্যান্ড

সর্বোচ্চ সাফল্য – কোয়ার্টার ফাইনাল

(১৯৩৪, ১৯৩৮ ও ১৯৫৪)

তিন বার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সুইজারল্যান্ড। আর এই তিন বারই বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে নিজেরা অথবা প্রতিবেশি কোনো দেশ। তবে বিশ্বকাপের একটি ইতিহাসের অংশ তারা। ১৯৫৪ সালে ঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রিয়ার কাছে ৭-৫ গোলের ব্যবধানে হারে তারা। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।

ক্যামেরুন

সর্বোচ্চ সাফল্য – কোয়ার্টার ফাইনাল

(১৯৯০)

অনেকটা স্বপ্নের মতোই তখনকার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে ক্যামেরুন। উঠে যায় শেষ ষোলোতে। কলম্বিয়াকে হারানোর পর সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে দারুণ খেলেছিল তারা। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টিতে গোল হজম করে নিতে হয় বিদায়।

ঘানা

সর্বোচ্চ সাফল্য – কোয়ার্টার ফাইনাল

(২০১০)

নিজ মহাদেশে প্রথম বিশ্বকাপ। আর নিজেদের দ্বিতীয় অংশগ্রহণ। ইতিহাস প্রায় গড়ে ফেলেছিল দলটি। উরুগুয়ের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে লুইস সুয়ারেজ চালাকি না করলে হয়তো উঠে যেত প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমি-ফাইনালে। গোল-লাইন থেকে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়েছিলেন সুয়ারেজ। পেনাল্টি পেলেও লক্ষ্যভেদ করতে না পারায় বিদায় নিতে হয় ঘানাকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

সর্বোচ্চ সাফল্য – সেমি ফাইনাল

(১৯৩০)

১৩ দলের প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই সেমি-ফাইনালে খেলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর্জেন্টিনার কাছে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেয় তারা। মাঝে টানা নয়টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি তারা। এরপর ২০০২ সালে একবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পারাই সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য।

পোল্যান্ড

সর্বোচ্চ সাফল্য – সেমি ফাইনাল

(১৯৭৪ ও ১৯৮২)

সত্তর দশক থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্বর্ণযুগ গিয়েছে পোল্যান্ডের। সেরা সাফল্য তাদের আসে এ সময়ে। ১৯৭৪ সালে আগের বছরের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারিয়ে তৃতীয় হয় দলটি। আর ১৯৮২ সালে চ্যাম্পিয়ন ইতালির কাছে সেমিতে হারার পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ফ্রান্সকে হারায় ৩-২ ব্যবধানে।

বেলজিয়াম

সর্বোচ্চ সাফল্য – সেমি ফাইনাল

(১৯৮৬ ও ২০১৮)

স্মরণ কালের সেরা দল নিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে গিয়েছিল বেলজিয়াম। কিন্তু হতাশা উপহার দিয়ে সেমি-ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নেয় তারা। যদিও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারায় তারা। এর ৩২ বছর আগে দিয়াগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার কাছে হেরে সেমি থেকে বিদায় নিয়েছিল দলটি।

পর্তুগাল

সর্বোচ্চ সাফল্য – সেমি ফাইনাল

(১৯৬৬ ও ২০০৬)

পর্তুগালের ইতিহাসের সেরা দুই খেলোয়াড় ইউসেবিও ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো খেলতে পেরেছেন বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত। ১৯৬৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে তিন গোলে পিছিয়ে থেকেও অবিশ্বাস্যভাবে ৫-৩ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ইউসেবিওর দল। পরে চ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের কাছে হেরে বিদায় নেয়। ৪০ বছর পর সেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২০০৬ সালে ফের ওঠে সেমিতে। তবে ফাইনালিস্ট ফ্রান্সের কাছে হেরে আবারও স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।

দক্ষিণ কোরিয়া

সর্বোচ্চ সাফল্য – সেমি ফাইনাল

(২০০২)

দ্বিতীয় রাউন্ড ও কোয়ার্টার ফাইনালে দুটি বিতর্কিত জয়। তবুও ২০০২ সালে ঘরের মাঠে নিজেদের সেরা সাফল্যটাই পায় দক্ষিণ কোরিয়া। ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কিত এ আসরে মাইকেল বালাকের পেনাল্টি গোলে হেরে স্বপ্নযাত্রা থামে তাদের।

সার্বিয়া

সর্বোচ্চ সাফল্য – সেমি ফাইনাল (যুগোস্লাভিয়া হিসেবে)

(১৯৩০ ও ১৯৬২)

প্রথম বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠেছিল তৎকালীন যুগোস্লাভিয়া। তবে উরুগুয়ের কাছে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেয় দলটি। এরপর ১৯৬২ সালে চিলি বিশ্বকাপে সেই উরুগুয়ে হারিয়ে প্রতিশোধ নেয় তারা। পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে সেমিতে ওঠা দলটি পরে হেরে যায় চেকোস্লোভাকিয়ার কাছে।

নেদারল্যান্ডস

সর্বোচ্চ সাফল্য – রানার্স আপ

(১৯৭৪, ১৯৭৮ ও ২০১০)

ইতিহাসের সবচেয়ে অভাগা দলই বলা হয়ে থাকে নেদারল্যান্ডসকে। ইয়ুহান ক্রুয়েফের দল ১৯৭৪ সালে ফাইনালে হারে পশ্চিম জার্মানির কাছে। পরের আসরে খেলেননি ক্রুয়েফ, তবে ফাইনালে ওঠে ডাচরা। এবার হেরে যায় স্বাগতিক আর্জেন্টিনার কাছে। এরপর ২০১০ সালে ফের ফাইনালে উঠে হারে স্পেনের কাছে। অধরাই থেকে যায় তাদের বিশ্বকাপ।

ক্রোয়েশিয়া

সর্বোচ্চ সাফল্য – রানার্স আপ

(২০১৮)

বেশ চমক দেখিয়ে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া। তবে ফাইনালে ফ্রান্সের সঙ্গে পেরে ওঠেনি দলটি। এর আগে নিজেদের প্রথম আসরে ১৯৯৮ সালে অংশ নিয়েই তৃতীয় হয়েছিল দলটি।

ইংল্যান্ড

সর্বোচ্চ সাফল্য – চ্যাম্পিয়ন

(১৯৬৬)

সেই ১৯৬৬ সালে নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করে ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর থেকে কেবল আক্ষেপের গল্প। রাশিয়ায় গত আসরেও সেমি-ফাইনালে উঠেছিল দলটি। কিন্তু আবারও স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।

আর্জেন্টিনা

সর্বোচ্চ সাফল্য – চ্যাম্পিয়ন

(১৯৭৮ ও ১৯৮৬)

প্রথম বিশ্বকাপেই ফাইনালে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করে ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপ জিতে নেয় তারা। ফাইনালে অন্যতম ফেভারিট নেদারল্যান্ডসকে হারায় দলটি। এরপর এক আসর পর ১৯৮৬ সালে দেখায় চমক। ফেভারিট তালিকায় সেরা দশের বাইরে থাকা দলটি মূলত শিরোপা জিতে দিয়াগো ম্যারাডোনার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে। প্রায় একাই আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বকাপ এনে দেন ম্যারাডোনা। তবে এরপর দুইবার ফাইনালে উঠেও পারেনি তারা।

ফ্রান্স

সর্বোচ্চ সাফল্য – চ্যাম্পিয়ন

(১৯৯৮ ও ২০১৮)

বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। গত আসরে ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে জিতে নেয় নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রথমবার ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল দলটি। ফাইনালে জিনেদিন জিদানের জোড়া গোলে ৩-০ গোলে সেলেসাওদের হারিয়েছিল তারা।

স্পেন

সর্বোচ্চ সাফল্য – চ্যাম্পিয়ন

(২০১০)

আফ্রিকায় প্রথম বিশ্বকাপ। নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালি দল নিয়ে সেখানে যায় স্পেন। আর সোনালি প্রজন্ম জিতেও নেয় বিশ্বকাপ। ফাইনালে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে হারায় নেদারল্যান্ডসকে।

জার্মানি

সর্বোচ্চ সাফল্য – চ্যাম্পিয়ন (পশ্চিম জার্মানিসহ)

(১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ ও ২০১৪)

ইউরোপের সবচেয়ে সফল দল জার্মানি। ১৯৫৪ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল দলটি। সেবার অবশ্য বেশ চমক দেখিয়ে ফেরেঙ্ক পুসকাসের হাঙ্গেরিকে হারিয়ে দেয় ফাইনালে। এরপর ঘরের মাঠে ফেভারিট হিসেবে ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় শিরোপা জয় করে তারা। এর ১৬ বছর পর ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়ে পায় তৃতীয় শিরোপা। সবশেষ ২০১৪ সালে ব্রাজিলে আবারও আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় তারা।

উরুগুয়ে

সর্বোচ্চ সাফল্য – চ্যাম্পিয়ন

(১৯৩০ ও ১৯৫০)

ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপাই জিতে নেয় উরুগুয়ে। সেবার ফাইনালে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও আর্জেন্টিনাকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর ১৯৫০ সালে ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ইতিহাসের একমাত্র ফাইনালহীন বিশ্বকাপ জিতে নেয় এ ল্যাতিন দলটি। শেষ ম্যাচে ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হতো ব্রাজিল। কিন্তু বিস্ময়করভাবে হেরে যায় সেলেসাওরা।

ব্রাজিল

সর্বোচ্চ সাফল্য – চ্যাম্পিয়ন

(১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২)

বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল। সবচেয়ে বেশি পাঁচটি শিরোপা জিতেছে তারা। একমাত্র তারাই অংশ নিতে পেরেছে বিশ্বকাপের সবকটি আসরে। তবে প্রথম শিরোপার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ছয়টি আসর পর্যন্ত। ১৯৫৮ সালে পেলের উত্থানের বছরে সুইডেনকে হারিয়ে জিতে নেয় প্রথম শিরোপা। পরের আসরে গারিঞ্চার নৈপুণ্যে পায় দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। এক আসর পর আবার জিতে নেয় ১৯৭০ সালে। চতুর্থ শিরোপা জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল ২৪ বছর। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফাইনালে ইতালিকে হারিয়ে হয় চ্যাম্পিয়ন। এরপর ২০০২ সালে জার্মানদের কাঁদিয়ে পঞ্চম শিরোপায় চুমু খায় সেলেসাওরা।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago