খেলোয়াড়দের ওপর প্রতিবাদের দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়: ক্লপ

jurgen klopp
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন কাতার বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে প্রতিনিয়তই ইউরোপিয়ান দেশগুলোর প্রতিবাদ ও সমালোচনার মুখে পড়ছে আয়োজকরা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সমকামিতা নিষিদ্ধের আইনকে কাঠগড়ায় তুলছেন প্রতিবাদকারীরা। বিভিন্ন মহল থেকে ফুটবলারদেরও আহ্বান করা হচ্ছে বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রতিবাদ জানানোর জন্য। আর সেখানেই আপত্তি লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের।

কাতারে বিশ্বকাপে যখন চলবে, তখন মাঠেই প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউরোপের অনেক ফুটবলাররা। বৈষম্যের বিরুদ্ধে নিজেদের কঠোর অবস্থান জানাতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইনসহ ইউরোপের আট দলের অধিনায়ক বিশেষ একটি আর্মব্যান্ড পড়ে নামবেন মাঠে। তাদের উদ্দেশ্য হলো, 'ওয়ান লাভ' ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে সচেতনতা তৈরি করা।

ডেনমার্ক প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে তাদের ম্যাচের পোশাককে। সম্পূর্ণ কালো জার্সি ও প্যান্ট পড়ে বিশ্বকাপে মাঠে নামবেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনরা। ইউরোপের বাইরে অবস্থিত হলেও এতে যোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গত সপ্তাহে কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরতে প্রচারণা চালিয়েছে তারা।

সম্প্রতি টেনিস কিংবদন্তি বিলি জিন কিং ফুটবলারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কাতারে গিয়ে নানা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে প্রভাব রাখার জন্য। তবে ক্লপ মনে করেন, এই দায়িত্ব খেলোয়াড়দের ঘাড়ে চাপানো উচিত নয়। বুধবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, 'এখন এসে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলা ও তাদের ওপর (প্রতিবাদের) দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়। কারণ ১০ বছরেরও বেশি সময় আগে অন্য ব্যক্তিরা (কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং আমরা সবাই সেটা মেনে নিয়েছিলাম।'

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পরাশক্তি লিভারপুলের জার্মান কোচ যোগ করেন, 'আমরা এই আশা করা ঠিক নয় যে তারা (ফুটবলাররা) সেখানে (কাতারে) যাবে ও বিশাল বিশাল রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়ে আসবে বা এমন কিছু। এটা একদমই ঠিক নয়। তারা খেলোয়াড়। টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে কাতারে। খেলোয়াড়রা সেখানে যাবে ও খেলবে।'

'ওয়ান লাভ' ক্যাম্পেইনের প্রতি সমর্থন থাকলেও খেলোয়াড়দের কাজ মাঠের খেলাতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত বলে মত দেন ক্লপ, 'এটা (ওয়ান লাভ ক্যাম্পেইন) ঠিক আছে। কিন্তু আমি যেটা পছন্দ করি না সেটা হলো, তারা (খেলোয়াড়রা) কিছু করবে সেই আশায় আছি আমরা। তারা সেখানে ফুটবল খেলতে যাবে। বড় এই টুর্নামেন্টের আয়োজন ও পরিকল্পনা করেছে অন্য মানুষেরা।'

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

15h ago