ইনজুরি আক্রান্ত ডেভিসকে নিয়েই কানাডার বিশ্বকাপ দল
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরছে কানাডা। দল নিয়ে তাই কোন আপোষ করেননি প্রধান কোচ জন হার্ডম্যান। চোট সমস্যা থাকলেও ঠাই পেয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা আলফনসো ডেভিস। রোববার নিজের বাছাই করা খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন কানাডা কোচ।
ডেভিস জায়গা পেলেও কপাল পুড়েছে ডিফেন্ডার ডনিয়েল হেনরির। গত সপ্তাহে বাহরাইনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের প্রাক্কালে গা গরম করার সময় চোট পান সাবেক ওয়েস্টহ্যাম ডিফেন্ডার।
ইনজুরির সমস্যা এখানেই শেষ নয় দ্য ম্যাপল লিফদের। আরেক ডিফেন্ডার স্কট কেনেডি ও গোলকিপার ম্যক্সিম ক্রেপোউ আগেই ছিটকে গেছেন চোটে পড়ে। তবে দলে থাকা ডেভিস শেষ পর্যন্ত মূল আসরে খেলতে না পারলে আক্ষেপের শেষ থাকবে না কানাডিয়ানদের।
২২ বছর বয়সী এই তরুণ তুর্কি ইতোমধ্যে বেশ নাম কুড়িয়েছেন জার্মান বুন্ডেসলিগায়। শরণার্থী ক্যাম্পে জন্ম নেওয়া ডেভিস নিজেও বেশ উচ্ছ্বসিত বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে। দল ঘোষণার পর সামাজিক মাধ্যম টুইটারে তিনি বলেন, 'শরণার্থী ক্যাম্পে জন্ম নেওয়া একটি শিশুর এতোদূর আসার কথা ছিল না। কিন্তু এখন আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি। কখনও কাউকে বলতে দিও না তোমার স্বপ্ন অবাস্তব। স্বপ্ন দেখতে থাকো, অর্জন করতে থাকো।'
বিশ্বকাপে এফ গ্রুপে বেলজিয়াম, মরক্কো ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লড়বে কানাডা। ২৩ নভেম্বর ইডেন হ্যাজার্ডদের বিপক্ষে বিশ্বকাপ শুরু করবে ডেভিসরা।
কানাডার বিশ্বকাপ দল
গোলরক্ষক: মিলান বোরজান (রেড স্টার বেলগ্রেড), জেমস প্যানটেমিস (সিএফ মন্ট্রিল) এবং ডেইন সেন্ট ক্লেয়ার (মিনেসোটা ইউনাইটেড)।
ডিফেন্ডার: অ্যালিস্টার জনস্টন (সিএফ মন্ট্রিল), ডেরেক কর্নেলিয়াস (প্যানেটোলিকোস), রিচি লারিয়া (টরন্টো এফসি), স্যাম আদেকুগবে (হাতেসপোর), স্টিভেন ভিটোরিয়া (চ্যাভস), কামাল মিলার (সিএফ মন্ট্রিল) এবং জোয়েল ওয়াটারম্যান (সিএফ মন্ট্রিল)।
মিডফিল্ডার: স্টিফেন ইউস্ট্যাকিও (পোর্তো), জোনাথন ওসোরিও (টরন্টো এফসি), আতিবা হাচিনসন (বেশিকতাস জে.কে.), মার্ক-অ্যান্টনি কায় (টরন্টো এফসি), স্যামুয়েল পিয়েট (সিএফ মন্ট্রিল), লিয়াম ফ্রেজার (কে.এম.এস.কে. বেলজিন), ইসমায়েল কোন (সিএফ মন্ট্রিল) এবং ডেভিড ওদারস্পুন (সেন্ট জনস্টোন)।
ফরোয়ার্ড: আলফনসো ডেভিস (বায়ার্ন মিউনিখ), জোনাথন ডেভিড (লিলে) এবং সাইল লারিন (ক্লাব ব্রুগ), তাজন বুকানন (ক্লাব ব্রুগ), লুকাস ক্যাভালিনি (ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস), জুনিয়র হোয়েলেট (রিডিং এফ.সি.), এবং আইকে উগবো (ইএস ত্রয়েস)।
Comments