ইংল্যান্ড বনাম ইরান: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড

মরুর বুকে শুরু হয়ে গেছে ফুটবলের মহাযুদ্ধ। সোমবার দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ইরান। শক্তি কিংবা বিশ্বমঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা, দুটোতেই এগিয়ে হ্যারি কেইনের দল। অন্যদিকে এশিয়ার পরাশক্তি ইরান থ্রি লায়ন্সদের গতিময় আক্রমণ রুখতে পারবে কিনা আছে সেই প্রশ্নও। তবে ফুটবলে ঘটতে পারে যেকোনো কিছুই, তাই সম্ভাবনা রয়েছে ভালো লড়াইয়েরও। 

মরুর বুকে শুরু হয়ে গেছে ফুটবলের মহাযুদ্ধ। সোমবার দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ইরান। শক্তি কিংবা বিশ্বমঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা, দুটোতেই এগিয়ে হ্যারি কেইনের দল। অন্যদিকে এশিয়ার পরাশক্তি ইরান থ্রি লায়ন্সদের গতিময় আক্রমণ রুখতে পারবে কিনা আছে সেই প্রশ্নও। তবে ফুটবলে ঘটতে পারে যেকোনো কিছুই, তাই সম্ভাবনা রয়েছে ভালো লড়াইয়েরও। 

ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি ইংল্যান্ড ও ইরানের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-

কখন?

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা, সোমবার, ২১ নভেম্বর।

কোথায়?

আল রাইয়ান স্টেডিয়াম, আল রাইয়ান, কাতার

নজরে থাকবেন যারা

বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করতে ইংল্যান্ড তাকিয়ে থাকবে তাদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হ্যারি কেইনের দিকে। ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের জাতীয় দলের জার্সিতে ৭৫ ম্যাচে রয়েছে ৫১ গোল। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ওয়েইন রুনির ৫৩ গোলের রেকর্ড চলতি আসরেই ভেঙে দেওয়াটা খুবই সম্ভব তার জন্য। রাশিয়া বিশ্বকাপেও হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। আক্রমণভাগে তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য আছেন ফিল ফোডেন, বুকায়ো সাকা, রাহিম স্টার্লিং, মার্কাস রাশফোর্ডের মতো গতিশীল তারকারা। তারা জ্বলে উঠলে যে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে ইংলিশরা, তা বলাই বাহুল্য।

ইরানের তুরুপের তাস হতে পারেন জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনের সরদার আজমাউন। ৬৫ ম্যাচে ৪১ গোল করে তাদের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। সঙ্গে আছেন পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোর স্ট্রাইকার মেহেদি তারেমি। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন মিডফিল্ডার সামান ঘোদ্দোস। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ব্রেন্টফোর্ডে খেলে থাকেন তিনি।

সম্ভাব্য লাইনআপ

ইংল্যান্ড: (৩-৪-৩) পিকফোর্ড (গোলরক্ষক), স্টোনস, ডিয়ের, ম্যাগুয়েইর, ট্রিপিয়ার, বেলিংহাম, রাইস, লুক শ, স্টার্লিং, ফোডেন, কেইন।

ইরান: (৪-১-৪-১) বেইরানভান্দ (গোলরক্ষক), মোহররামি, কানানিজাদেগান, খলিলজাদেন, হাজসাফি, এজাতোলাহি, জাহানবখশ, নুরুল্লাহি, আমিরি, তারেমি, আজমাউন।

প্রেডিকশন

অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বকাপ স্পর্শ করতে না পারা ইংল্যান্ড ভালো কিছুর প্রত্যাশায় মরিয়া হয়েই মাঠে নামবে। স্বাভাবিকভাবেই শুরুটা ভালো করতে চাইবে দলটি। তবে রক্ষণভাগে দারুণ শক্তিশালী ইরানের জালে বল পাঠাতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে তাদের। অন্যদিকে নড়বড়ে ইংলিশ রক্ষণ। যা কাজে লাগাতে চাইবে ইরানিরা। শক্তির বিচারে পাল্লা ইংলিশদের দিকে থাকলেও লড়াই হবে জমাট।

সম্ভাব্য স্কোর

ইংল্যান্ড ২-১ ইরান

ম্যাচ ফেক্টস

১) আন্তর্জাতিক ফুটবলে এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ইরান। এর আগে কখনোই বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুখোমুখি হয়নি দলদুটি এবং মজার ব্যাপার হলো প্রথম দেখাটা হলো ফিফা বিশ্বকাপে।

২) এই নিয়ে ১৬তম বারের মতো বিশ্বকাপে খেলছে ইংল্যান্ড। টানা সপ্তমবারের মতো।

৩) ২০২২ বিশ্বকাপের ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্বে সেরা গোল ব্যবধান ছিল ইংল্যান্ডেরই। ৩৯ গোল করেছে তার বিরুদ্ধে গোল হজম করে মাত্র তিনটি।

৪) জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়ে ইংল্যান্ডকে শেষ দুটি টুর্নামেন্টের শেষ চারে নিয়ে গেছেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এর আগে শুধুমাত্র স্যার আলফ র‍্যামসের অধীনে ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৬৮ সালে ইউরোর সেমিফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড।

৫) ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। গোল করেছিলেন ছয়টি। তার পাঁচটি ছিল গ্রুপ পর্বে। দুটি ভিন্ন বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে কোনো খেলোয়াড়ই কখনো টানা সর্বোচ্চ স্কোরার হতে পারেনি।

৬) ফিফা বিশ্বকাপে ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে তাদের আট ম্যাচে কোনোটাতেই জয় পায়নি ইরান। এর মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে।

৭) এর আগে ইরান কখনোই বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড পার হতে পারেনি। তাদের খেলা ১৫টি ম্যাচের মধ্যে জিতেছে মাত্র দুটিতে (১৯৯৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ২০১৮ সালে মরক্কো)।

৮) বিশ্বকাপের ১৫টি ম্যাচে তারা মাত্র নয়টি গোল করেছে ইরান। ম্যাচ প্রতি ০.৬ গোল। বিশ্বকাপে ১০টির বেশি ম্যাচ খেলে এটাই যেকোনো দেশের সর্বনিম্ন ম্যাচ প্রতি গোল অনুপাত।

৯) ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের শেষ দুটি ফিফা বিশ্বকাপের প্রতিটিতে অংশ নেওয়া ২০টি দলের মধ্যে ইরান একটি। এই দলগুলির মধ্যে, গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে কম শট (৪৭), লক্ষ্যে সবচেয়ে কম শট (১০) এবং সবচেয়ে কম গোল (৩) করে তারা।

১০) সাউথগেটের অধীনে ইংল্যান্ড সেট-পিসে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। তাদের শেষ ১৮ ম্যাচে সেট-পিস থেকে গোল পেয়েছে ১২টি।

Comments