ডেনমার্ক বনাম তিউনিসিয়া: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জাদুকরী ফর্মেই আছে ডেনমার্ক। ইউরোপিয়ান নেশন্স লিগের কিছু দিন আগে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়েছে টানা দুই বার। বাছাই পর্বেও দুর্দান্ত খেলেছে দলটি। এবার সে ঝলক বিশ্ব মঞ্চে দেখানোর অপেক্ষায় রয়েছে তারা। তিউনিসিয়াও ছেড়ে কথা বলবে না। যদিও ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বরাবরই খেই হারিয়েছে দলটি। তারপরও একটি জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায় ফুটবল ভক্তরা।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জাদুকরী ফর্মেই আছে ডেনমার্ক। ইউরোপিয়ান নেশন্স লিগের কিছু দিন আগে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়েছে টানা দুই বার। বাছাই পর্বেও দুর্দান্ত খেলেছে দলটি। এবার সে ঝলক বিশ্ব মঞ্চে দেখানোর অপেক্ষায় রয়েছে তারা। তিউনিসিয়াও ছেড়ে কথা বলবে না। যদিও ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বরাবরই খেই হারিয়েছে দলটি। তারপরও একটি জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায় ফুটবল ভক্তরা।

ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-

কখন?

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়

কোথায়?

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, আল রাইয়ান

নজরে থাকবেন যারা

ভালো কিছু করতে ডেনমার্ক চেয়ে থাকবে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের দিকে। যদিও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার নেই নিজের সেরা ফর্মে। চলতি মৌসুমে রেড ডেভিলদের হয়ে ২০ ম্যাচ খেলে করেছেন এক গোল ও ছয় অ্যাসিস্ট। জাতীয় দলের হয়ে ১১৭ ম্যাচে তার গোল ৩৯।

তিউনিসিয়ার মিডফিল্ডে আছেন তরুণ সম্ভাবনাময়ী ফুটবলার হানিবাল মেজব্রি। ইউনাইটেডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের এই সদস্য বর্তমানে ধারে আছেন আরেক ইংলিশ ক্লাব বার্মিংহাম সিটিতে। এছাড়া আক্রমণভাগে ইসাম জেবালি ও ওয়াহবি খাজরির জ্বলে উঠার প্রত্যাশায় থাকবে উত্তর পশ্চিম আফ্রিকার দলটি।

সম্ভাব্য লাইনআপ

ডেনমার্ক একাদশ: (৪-২-৩-১) স্মাইকেল, ওয়াস, কেয়ার, ক্রিস্টেনসেন, মাহেলে, হজবার্গ, ডেলানি, এরিকসেন, লিন্ডস্টর্ম, ডলবার্গ।

তিউনিসিয়া একাদশ: (৪-৩-৩) দাহমেন, ড্রেগার, ইফা, তালবি, আবদি, স্লিমানে, স্খিরি, মেজব্রি, জাজিরি, স্লিতি, মসকনি।

প্রেডিকশন

সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স অনুযায়ী বেশ এগিয়ে আছে ডেনমার্ক। আফ্রিকান দলগুলোর বিপক্ষে তাদের পরিসংখ্যানও দারুণ। অন্যদিকে ঠিক উল্টোটা তিউনিসিয়ার। ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপে এখনও জয়হীন তাদের। তাই এ ম্যাচে নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকবে ডেনিশরা। আফ্রিকান দলটিও লড়াই করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শেষ পর্যন্ত জয় পেতে পারে ডেনিশরাই।

সম্ভাব্য স্কোর

ডেনমার্ক ৩-০ তিউনিসিয়া

ম্যাচের অন্যান্য পরিসংখ্যান

১) বিশ্বকাপে ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়ার মধ্যে এটাই প্রথম লড়াই।

২) দুই দলের মধ্যকার একমাত্র লড়াইটি ছিল একটি প্রীতি ম্যাচে। ২০ বছর আগে জাপানে ২০০২ বিশ্বকাপের আগে সেই ম্যাচে ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছিল ডেনমার্ক।

৩) বিশ্বকাপে আফ্রিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অপরাজিত (২টি জয় ও ২টি ড্র) ডেনমার্ক। অন্যদিকে ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কখনোই জয় পায়নি তিউনিসিয়া (৩টি ড্র ও ৭টি হার)।

৪) ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলছে ডেনমার্ক। এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার তারা টানা দুইবার এ আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে (১৯৯৮ ও ২০২২)।

৫) আগের পাঁচটি বিশ্বকাপের মধ্যে চার বারই গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যায় ডেনমার্ক। ১৯৯৮ সালে সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে পেরেছিল তারা। ব্রাজিলের কাছে ৩-২ গোলে হেরে বিদায় নেয়।

৬) বিশ্বকাপে ডেনমার্কের দেওয়া ৩০টি গোলের কোনোটাই বক্সের বাইরে থেকে আসেনি। দীর্ঘ পরিসর থেকে জাল খুঁজে না পেয়ে আর কোনো দলই টুর্নামেন্টে এতবার গোল করতে পারেনি।

৭) বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ১০টি ম্যাচের নয়টি জিতেছে ডেনমার্ক, একমাত্র হারটি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ইউরোপীয় বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্বে অন্য যেকোনো দলের (আট) চেয়ে বেশি ক্লিন শিট রাখে তারা।

৮) ডেনমার্কের মতো তিউনিসিয়ারও এটা ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। যদিও তারা কখনোই গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি।

৯) ১৯৭৮ সালে মেক্সিকোকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে জয় পায় তিউনিসিয়া।

১০) তিউনিসিয়া বিশ্বকাপে তাদের ১৫টি ম্যাচের মধ্যে ১৪টিতে ক্লিনশীট রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। হজম করেছে ২৫টি গোল। একমাত্র ব্যতিক্রম ১৯৭৮ সালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Corruption in RHD dev projects cost country up to Tk 50,835cr in 15yrs: TIB

TIB, revealing a research outcome at its Dhanmondi office today, estimated that the development projects saw 23–40 percent corruption of its work orders

1h ago