প্রতি ম্যাচের জন্য দশটি নাচ প্রস্তুত করে রেখেছে ব্রাজিল

নেইমার, ভিনিসিউস জুনিয়ররা গোল করার পর প্রায়ই উদযাপনের জন্য বেছে নেন নাচকে। মজাদার সব ভঙ্গীতে শরীর দুলিয়ে দর্শকদের আনন্দ দেন তারা। ঐতিহাসিকভাবেই ভিন্ন ভিন্ন সব নাচের জন্য বেশ সুখ্যাতি রয়েছে ব্রাজিলের।
paqueta, raphinha,  neymar
বিশ্বকাপে এমন নাচ কতবার দেখাবে ব্রাজিল?

ব্রাজিলকে ফুটবল বিশ্বকাপের 'রাজা' বললে ভুল কিছু হবে না। সবচেয়ে বেশি পাঁচটি শিরোপা আছে তাদের দখলে। সর্বোচ্চ মর্যাদার সবকটি আসরে অংশ নেওয়া একমাত্র দলও তারাই। গোল করায় যেমন পটু সেলেসাওরা, তেমনি উদযাপনের জন্যও বেশ খ্যাতি আছে তাদের। ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনহা জানালেন উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে ১০টির বেশি নাচের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা।

নেইমার, ভিনিসিউস জুনিয়ররা গোল করার পর প্রায়ই উদযাপনের জন্য বেছে নেন নাচকে। মজাদার সব ভঙ্গীতে শরীর দুলিয়ে দর্শকদের আনন্দ দেন তারা। ঐতিহাসিকভাবেই ভিন্ন ভিন্ন সব নাচের জন্য বেশ সুখ্যাতি রয়েছে ব্রাজিলের। ফুটবলাররাও এর বাইরে নন, তাই বিশ্বকাপের প্রাক্কালে মাঠের প্রস্তুতির সঙ্গে নাচের প্রস্তুতিটাও নিয়ে রেখেছেন তারা।

নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া রাফিনহা সোমবার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'সত্যি বলতে, এরই মধ্যে আমরা ১০ম গোল পর্যন্ত নাচ প্রস্তুত করে রেখেছি। প্রতি ম্যাচের জন্যই প্রায় দশটার মতো নাচ প্রস্তুত করা আছে, প্রথমটার জন্য একটা, দ্বিতীয়টার জন্য আরেকটা, তৃতীয়টার জন্য অন্য একটা...যদি আমরা দশটার বেশি গোল দেই, আমাদের উদ্ভাবন করা শুরু করতে হবে।'    

ব্রাজিল সবসময়ই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বলেও জানান ২৫ বছর বয়সী বার্সেলোনা উইঙ্গার। আক্রমণভাগের সতীর্থ রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিউসের গতিরও প্রশংসা করেন তিনি, 'ভিনিসিউস থাকলে আক্রমণে আমাদের গতি বাড়ে, এদিকে লুকাস পাকেতা থাকলে মিডফিল্ডে আমাদের অধিক নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু ব্রাজিলের সবসময়ই আক্রমণাত্মক হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, কে খেলল তাতে যায় আসে না।'

২০০২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল সেলেসাওরা। আগামী ২৫ নভেম্বর জি গ্রুপের ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে মরুর আসর শুরু করবেন নেইমার-রাফিনহারা। এই গ্রুপে তাদের অপর দুই প্রতিপক্ষ ক্যামেরুন ও সুইজারল্যান্ড।

Comments