নেইমারের সামনে পেলেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি

ছবি: এএফপি

ব্রাজিল ফুটবল দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা কিংবদন্তি পেলে। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড তিনটি বিশ্বকাপ জেতা সাবেক তারকার নামের পাশে রয়েছে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল। এবার কাতারের মাটিতে ফুটবলের মহাযুদ্ধে তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি রয়েছে নেইমারের সামনে। পাশাপাশি অধরা বিশ্বকাপ শিরোপায় চুমু আঁকার লক্ষ্যও থাকবে পিএসজি ফরোয়ার্ডের।

'জি' গ্রুপে সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ব্রাজিল। আসরের রেকর্ড পাঁচবারের শিরোপাধারীরা মাঠে নামবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায়।

এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করতে পারলে পেলেকে টপকে চূড়ায় উঠে যাবেন নেইমার। সেলেসাওদের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হবেন তিনি। সার্বিয়ানদের বিপক্ষে সেটা করতে না পারলেও চলমান বিশ্বকাপে অন্তত আরও দুটি সুযোগ মিলবে ৩০ বছর বয়সী তারকার। ২০১০ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ১২১ ম্যাচ খেলেছেন নেইমার। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলো ছড়িয়ে তিনি লক্ষ্যভেদ করেছেন ৭৫ বার।

ব্যক্তিগত অর্জনে উজ্জ্বল হলেও দলীয়ভাবে প্রত্যাশিত সাফল্য এখনও অধরা নেইমারের। কেবল ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের শিরোপা জেতার স্বাদ নেওয়া হয়েছে তার। ওই আসরে ৪ গোল করেছিলেন তিনি। নজরকাড়া পারফরম্যান্সে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছিলেন। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বেশ কাছাকাছি নেইমার পৌঁছেছিলেন পরের বছর। তবে ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে আশাভঙ্গ হয়েছিল ব্রাজিলের। এর আগেই অবশ্য নেইমারের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার হুয়ান জুনিগার ফাউলে মেরুদণ্ডে চোট পেয়েছিলেন তিনি। তাতে ছিটকে গিয়েছিলেন আসর থেকে।

২০১৪ সালেই প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন নেইমার। সেবার ৫ ম্যাচে ৪ গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি। গত রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের যাত্রা থেমেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরে। ৫ ম্যাচ খেলে দুবার লক্ষ্যভেদ করেছিলেন নেইমার। পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে তিনি করিয়েছিলেন আরও দুটি গোল।

Comments