দ. কোরিয়ার বিপক্ষে উরুগুয়ের জয়ে বাধা দিল গোলপোস্ট

দুই দুইবার বারপোস্টে লেগে ফিরে এলো বল। একাধিক সুযোগ নষ্ট হলো ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়। দুর্ভাগ্যই যেন ভর করেছিল উরুগুয়ের শিবিরে। ফলে দারুণ খেলেও পয়েন্ট খোয়াতে হলো দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের। অন্যদিকে এশিয়ান দলগুলোর উত্থানের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো উরুগুয়ের কাছ থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল দক্ষিণ কোরিয়া।
বৃহস্পতিবার আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের 'জি' গ্রুপের ম্যাচে উরুগুয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। বিশ্বকাপের এর আগে এই দুই দলের মুখোমুখি আগের দুই লড়াইয়ে দুইবারই জিতেছিল উরুগুয়ে।
আর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার ধারা বজায় রাখল উরুগুয়ে। শেষ সাতটি বিশ্বকাপের ছয়টিতেই প্রথম ম্যাচে জয়হীন ছিল তারা। সে ধারা রাশিয়ায় গত আসরে ভেঙেছিল দলটি। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচই জিতেছিল ল্যাতিন দলটি। কিন্তু এবার ফের জয় বঞ্চিত হয়ে আসর শুরু করল তারা।
এদিন মাঝমাঠের লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল উরুগুয়ে। ৫৬ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। শটও নেয় ১০টি। তবে কেবল একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। অন্যদিকে ৭টা শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া।
শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণে খেলা হলেও অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারাচ্ছিল দুই দলই। গোল করার মতো প্রথম সুযোগটি মিলে ১৯তম মিনিটে। হোসে হিমেনেজের বাড়ানো বল দারুণ ভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভলি নিয়েছিলেন ভালভার্দে। তবে বারপোস্টের সামান্য উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোল মিলেনি উরুগুয়ের।
তিন মিনিট পর একেবারে ফাঁকায় কেবল পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতে পারতেন নুনেজ। ২৭তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দারুণ সুযোগ ছিল উরুগুয়ের। ম্যাথিয়াস ওলিভেরার দেওয়া পাসটি আর একটু ধীর গতিতে থাকলে ধরতে পারতেন নুনেজ। সেক্ষেত্রে বড় বিপদ হতে পারতো কোরিয়া।
৩৪তম মিনিটে গোল করার মতো দিনের প্রথম সুযোগ পায় কোরিয়া। কিন্তু সুবর্ণ সে সুযোগ নষ্ট করেন হুয়াং উই-জো। কিম মুন-হুয়ানের আড়াআড়ি ক্রস থেকে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন এ অলিম্পিয়াকোস ফরোয়ার্ড। কিন্তু তার নেওয়া শট অল্পের জন্য বারপোস্টের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৪৩তম মিনিটে বড় দুর্ভাগা দিয়াগো গোডিন। কর্নার থেকে লাফিয়ে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন এ ডিফেন্ডার। কিন্তু বার পোস্টে লেগে ফিরে এলে হতাশা বাড়ে দুই বারের চ্যাম্পিয়নদের।
৬৫তম মিনিটে গোডিনের বাড়ানো বল পেয়ে এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন নুনেজ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ ঠিক রাখতে না পারলে জোরালো ক্রস নিতে পারেননি। ঝাঁপিয়ে আটকে ফেলেন কোরিয়ান গোলরক্ষক সিউং গিউ-কিম।
৭৭তম মিনিটে চো গুয়ে সাংয়ের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চার মিনিট পর কাভানির কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন নুনেজ। তার শটও লক্ষ্যে থাকেনি।
৮৯তম মিনিটে ফের দুর্ভাগা উরুগুয়ে। আবারও বল ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে। বাঁ প্রান্ত থেকে ভালভার্দের নেওয়া দূরপাল্লার শট বাধা পায় পোস্টে। পরের মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে প্রায় গোল হজম করে ফেলেছিল উরুগুয়ে। হিউং-মিন সনের নেওয়া শট বার ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে গোল মিলেনি।
Comments