কাতারকে বিদায়ের পথ দেখিয়ে সেনেগালের প্রথম জয়

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ভালো খেলেও ফলটা নিজেদের পক্ষে আনতে পারেনি সেনেগাল। কাতারের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে নেমে নিজেদের মেলে ধরল তারা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েই পেল এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়।

শুক্রবার দোহায় বিশ্বকাপের 'এ' গ্রুপের ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ৩-১ গোলে হারায় সেনেগাল। আফ্রিকান প্রতিনিধিদের হয়ে গোল করেন বোউলায়ে দিয়া,  ফামারা জিজু ও বাম্বা ডিয়েং। কাতারের হয়ে এক গোল শোধ দেন মোহাম্মদ মুনতারি।

এই হারে খাতায় কলমে কিছুটা সম্ভাবনা টিকে থাকলেও যদি, কিন্তুর হিসাব পেরিয়ে সেই সমীকরণ মেলানো তাদের পক্ষে কঠিন।

এদিন নেমেই বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে থাকে সেনেগাল। চাপ তৈরির চেষ্টা চালায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে। কাতারের বক্সের ভেতর গিয়ে তাদের তৈরি করা সুযোগগুলো ধার হারাচ্ছিল। প্রতি আক্রমণে যাচ্ছিল কাতারও।

১৬ মিনিটে আসে বলার মতো সুযোগ। বা দিক থেকে বল নিয়ে ঢুকে ক্রেপিন দিয়াত্তার শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন কাতারের গোলরক্ষক। কর্নার থেকে পরে অল্পের জন্য মাথা লাগাতে পারেননি ফামারা জিজু।২৪ মিনিটে ইদ্রিসা গুয়ের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য যায় বাইরে।

৪১ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত মূহুর্ত। দিয়াত্তার বাড়ানোর বল ঠেকাতে গিয়ে মারাত্মক ভুল করে বসেন কাতারের ডিফেন্ডার বৌয়ালেম খৌখি। বক্সের মাঝে বল পেয়ে যান বোউলায়ে দিয়া। দারুণ প্লেসিং শট খোঁজে নেয় জাল।

বিরতির পর ব্যবধান বাড়াতে একদম সময় নেয়নি সেনেগাল। কর্নার থেকে দারুণ মাপা হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মোনোকো ফরোয়ার্ড জিজু।

খেলায় ফিরতে মরিয়ে হয়ে পরের কয়েক মিনিট চেষ্টা চালায় স্বাগতিকরা। ৫৬ মিনিটে গোল শোধের সুযোগ এসেছিল কাতারের। সেট পিস থেকে বল আফিফ বক্সে ফেললেও আলমোয়াজ আলির শট জটলার মধ্যে আটকে যায়।

৬৩ মিনিটে দলকে বাঁচান সেনেগাল গোলরক্ষক এদৌয়ার্ড মেন্ডি। আলির মারা শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বাইরে ফেলে দেন তিনি। ৬৭ মিনিটে আবারও ত্রানা মেন্ডি। এবার তার দক্ষতায় হতাশ হন ইসমাইল মোহাম্মাদ। ইসমাইলের তীব্র গতির হেড ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বিশ্বমানের কিপিং নৈপুণ্য দেখান মেন্ডি।

ক্রমাগত চাপে গোল পেতে দেরি হয়নি তাদের। ৮০ মিনিটে ডান দিক থেকে ইসমাইলের ক্রস থেকে দারুণ হেডে দেশের হয়ে বিশ্বকাপের প্রথম গোল উপহার দেন মোহাম্মদ মুনতারি।

মিনিট চারেক পরেই দেখার মতো গোলে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় সেনেগাল। ইলিমান এনদিয়ায়ে ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ছুটে বক্সে ক্রস বাড়ান। বল পায়ে নিয়েই  চোখের পলকে জালে জড়িয়ে দেন বাম্বা ডিয়েং। ম্যাচের ফল নিয়ে দোলাচলের তখনই যেন সমাপ্তি।

৮৮ মিনিটে আব্দুল করিম হাসান সেটপিস থেকে তীব্র শট নিলেও তা অল্পের জন্য যায় বাইরে। বাকি কয়েক মিনিটে ছিল না আর কোন উত্তাপ। চওড়া হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়ে সেনেগালিজরা।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh asks India to halt border push-ins, cites security concerns

The move follows reports that BSF pushed in around 300 people into Bangladesh between May 7 and May 9

1h ago