এমবাপের ওপর 'কোনো একক নির্ভরতা নেই' ফ্রান্সের

জুভেন্তাস মিডফিল্ডার র‍্যাবিওর মতে, এমবাপে তাদের মূল অস্ত্র হলেও একক নির্ভরতার নাম নন।
ছবি: এএফপি

গত রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবার কাতারের মাটিতেও শিরোপার অন্যতম দাবিদার। চোটের কারণে একাধিক তারকা ফুটবলারকে হারালেও শেষ আটে জায়গা করে নিতে বেগ পেতে হয়নি দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের। সেখানে মূল ভূমিকা রেখেছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। তবে তার একার ওপর দল নির্ভরশীল, এমনটা মানতে নারাজ আরেক ফরাসি তারকা আদ্রিয়েন র‍্যাবিও।

চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৫ গোল করে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন ২৩ বছর বয়সী এমবাপে। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছাড়া বাকি তিন ম্যাচেই পেয়েছেন জালের দেখা। তার চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্যে শিরোপাধারী ফ্রান্সও জায়গা করে নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে। চোটের কারণে ব্যালন ডি'অর জয়ী করিম বেনজেমার অনুপস্থিতিতে দলের আক্রমণভাগের নেতৃত্ব এখন এমবাপের কাঁধেই। আর দারুণভাবে সেই দায়িত্ব সামলে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি।

আগামী শনিবার রাতে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ফরাসিরা। ইউরোপের দুই পরাশক্তির লড়াইয়ের আগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন এমবাপে। তবে জুভেন্তাস মিডফিল্ডার র‍্যাবিওর মতে, এমবাপে তাদের মূল অস্ত্র হলেও একক নির্ভরতার নাম নন।

বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার বলেন, পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো আরও অনেকে আছেন ফ্রান্স স্কোয়াডে, 'এখানে কোনো (একক) নির্ভরতা নেই। সে আমাদের মূল অস্ত্র। তবে আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়ও আছে, যারা ভিন্নভাবে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তার ওপর আমরা সেভাবেই ভরসা করি, যেভাবে দলের বাকি খেলোয়াড়দের ওপর করি। ইংল্যান্ডকে মোকাবিলা করার জন্য সবারই সুস্থ থাকা প্রয়োজন।'

প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে দাপটের সঙ্গে বিশ্বকাপ শুরু করে ফ্রান্স। দ্বিতীয় ম্যাচেও তারা হারায় ডেনমার্ককে। তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে হেরে অঘটনের জন্ম দেয় দেশমের শিষ্যরা। ধাক্কা সামলে শেষ ষোলোতে ঠিকই স্বরূপে ফেরে ফরাসিরা। এমবাপে জাদুতে পোল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে পরাস্ত করে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এক ধাপ এগিয়েছে তারা।

Comments

The Daily Star  | English

288 Myanmar security personnel sent back from Bangladesh

Bangladesh this morning repatriated 288 members of Myanmar's security forces, who had crossed the border to flee the conflict between Myanmar's military junta and the Arakan Army

13m ago