ম্যাচের আগে রেফারির নাম শুনেই আঁতকে উঠেছিলেন মেসিরা

আন্তনিও মাতেউ। স্প্যানিশ রেফারি। যার নাম শুনলেই আঁতকে ওঠে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। বিতর্কিত অনেক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন এই রেফারি। কাতালান ক্লাবে ২০ বছরেরও বেশি সময় খেলার কারণে এই রেফারি সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। জানেন তার অনেক সতীর্থরাও। তাই ডাচদের বিপক্ষে এই রেফারির নাম জানার পর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন মেসিরা।
শুক্রবার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে টাই-ব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারায় আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে কোনো গোল না হলে টাই-ব্রেকারে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচটি।
তবে জয় পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনা রেফারিং নিয়ে। এ ম্যাচ পরিচালনা করতে গিয়ে ১৮টি কার্ড ব্যবহার করেছেন মাতেউ। যা বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ড। আর পুরো ম্যাচে ৪৮ বার ফাউলের জন্য বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি। হলুদ কার্ডের আগের রেকর্ডটির সঙ্গেও ছিল ডাচরা। ২০০৬ সালে পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ১৬টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি।
ম্যাচ শেষে রেফারির কর্মকাণ্ড নিয়ে মেসি বলেছেন, 'রেফারি সম্পর্কে আমি কিছু বলব না। কারণ সকলের সামনে যা বলব সেটা সত্যি হবে না। আমার মনে হয় ফিফার ভেবে দেখা প্রয়োজন, এ রকম ম্যাচে এই ধরনের রেফারিকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত কি না। এমন রেফারিকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়, যে কাজটার যোগ্য নয়।'
মূলত মাতেউকে রেফারির দায়িত্ব দেওয়ায় পর থেকেই এমন কিছুর ভয় পাচ্ছিলেন মেসি, 'রেফারির নাম দেখে ম্যাচ শুরুর আগেই আমরা ভয়ে ভয়ে ছিলাম। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই ধরনের রেফারিকে দায়িত্ব দেওয়াই উচিত নয়।'
রেফারির পক্ষপাতমূলক আচরণ তুলে ধরে আরও বলেন, 'আমাদের খেলা খুব ভালো ছিল না, এবং তারপর রেফারি এটিকে অতিরিক্ত সময়ে পাঠিয়েছিলেন। তিনি সবসময় আমাদের বিরুদ্ধে ছিলেন। শেষ নাটকে ওটা ফাউলই হয়নি। তারা সমতায় আসার পর আমি খুব রাগান্বিত হয়ে গিয়েছিলাম।'
এদিন বিপজ্জনক ফাউলের কারণে হলুদ কার্ড তো দেখিয়েছেনই মাতেউ, এমনকি তার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেও দেখিয়েছেন হলুদ কার্ড। বাদ যাননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনিও। তবে দলটির বড় দুঃসংবাদ দুই ফুলব্যাক মার্কাস আকুনিয়া ও গনসালো মন্তিয়েল হলুদ কার্ড দেখায় খেলতে পারবেন না সেমি-ফাইনালে।
Comments