হারের যন্ত্রণা 'নরকের মতো লাগছে' নেইমারের

ছবি: এএফপি

অন্যতম শিরোপাপ্রত্যাশী ব্রাজিলের বিদায়ে যেন অনেকটাই রঙ হারিয়েছে কাতার বিশ্বকাপ। এতে ফুটবলের সর্বোচ্চ মর্যাদার ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে নেইমারের। আরও একবার তাকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বিশ্বমঞ্চ থেকে। তবে হৃদয় ভাঙার কষ্ট থেকে কিছুতেই মুক্তি মিলছে না পিএসজি ফরোয়ার্ডের। তিনি যেন বোধ করছেন 'নরক যন্ত্রণা'।

গত শুক্রবার রাতে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিট পরও জয়সূচক গোল করতে পারেনি ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া কোনো দলই। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে দারুণ এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন নেইমার। তিতের শিষ্যরা যখন নিশ্চিত জয় দেখছিল, তখনই দৃশ্যপট পাল্টে দেন বদলি ব্রুনো পেতকোভিচ। তার শেষদিকের গোলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ গোলে জিতে ব্রাজিলের বিদায় ঘণ্টা বাজায় জ্লাতকো দালিচের শিষ্যরা।

ব্রাজিলের 'হেক্সা' জয়ের অভিযান ভেস্তে যাওয়ার পর নিজের বেদনার কথা জানিয়েছিলেন নেইমার। দেশে ফিরে আবারও দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বাজতে থাকা সুর খোলাসা করেছেন তিনি। রোববার সামাজিক মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, '(এখন) ব্রাজিলের মাটিতে আছি... হারের যন্ত্রণা এখনও নরকের মতো লাগছে, আমরা (জয়ের) খুবই কাছে ছিলাম, খুবই কাছে। দুর্ভাগ্যবশত অথবা সৌভাগ্যবশত আমি এখনও হারতে শিখিনি। হার আমাকে আরও শক্তিশালী করে। কিন্তু সেগুলো প্রচণ্ড যন্ত্রণা দেয় ও আমি এখনও এটাতে অভ্যস্ত হতে পারিনি।'

এমন বিপর্যস্ত অবস্থাতেও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, 'যাইহোক, আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে... জীবন আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়। যদিও এটা (হার) কষ্টও দেয় এবং সেই কষ্ট মুছে যেতে সময় লাগে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আরও একবার আমি ব্রাজিলের মানুষদের ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য। আমরা লড়াই করেছি, শেষ পর্যন্ত (শ্রম) দিয়েছি, আপনাদের মুখ থেকে এগুলো শুনে আমাদের কষ্ট কিছুটা হলেও কমেছে।'

পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে হারের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন উদ্যমে ফেরার প্রত্যাশা জানিয়েছেন তিনি, 'আমরা এগিয়ে যেতে থাকব... এখন ঝাঁপ বন্ধ করার পালা। এখন সুযোগ পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর, শক্তি সঞ্চয় করার। কারণ, এই হারকে মোকাবিলা করা খুবই কঠিন হবে। এটা এখনও আমাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে! বিশ্বাস করুন।'

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

2h ago