ক্লিন্সম্যান্সের দৃষ্টিতে ব্রাজিলের ব্যর্থতা ও আর্জেন্টিনার সফলতার কারণ

একই দিনের দুটি কোয়ার্টার ফাইনালে ভিন্ন ফলাফল দেখেছে ল্যাতিন আমেরিকার দুই দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। অথচ ম্যাচের প্রেক্ষাপট ছিল অনেকটাই এক। এগিয়ে থেকেও লিড ধরে না রাখতে পারায় ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। সেখানে ব্রাজিল হেরে গেলেও জয় পায় আরেক ল্যাতিন দল আর্জেন্টিনা।

মূলত দলের সেরা পেনাল্টি টেকারকে প্রথমে শট না নিতে পাঠানোর কারণে ব্রাজিল হেরেছে বলে মনে করেন কিংবদন্তি জার্মান ফুটবলার এবং ফিফার টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের (টিএসজি) সদস্য ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম কিক নিতে গিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ২১ বছর বয়সী তরুণ রদ্রিগো। তার মিসে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় দল।

অবশ্য রদ্রিগো প্রথম পেনাল্টি মিস করলেও পরে দুটি শট বল জালে পাঠিয়েছিলেন কাসেমিরো ও পেদ্রো। এরপর চতুর্থ শটটি নিতে গিয়ে মারকুইনহোস মারেন বারপোস্টে। পঞ্চম শটটি আর নেওয়ায়ই হয়নি ব্রাজিলের। যেটা নিতে আসতেন দলের সেরা পেনাল্টি টেকার নেইমার। অথচ সুযোগই হলো না তার। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে হারতে হয় তাদের। 

সোমবার দোহার প্রধান মিডিয়া সেন্টারে টিএসজির এক সংবাদ সম্মেলনে ক্লিন্সম্যান বলেছেন, 'ব্রাজিলের জন্য, তাদের হয়তো তাদের সেরা শুটারকে প্রথমে রাখা উচিত ছিল। আপনার সেরা পেনাল্টি টেকারকে দিয়ে একটা ছন্দ সেট করা উচিত এবং এরপর ধাপে ধাপে (দ্বিতীয় সেরা, তৃতীয় সেরা এমন ক্রমবিন্যাসে) নেমে যাওয়া উচিত।'

অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে লিড হারানোর ধাক্কাটা ব্রাজিল কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলে মনে করেন ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এ জার্মান তারকা, '১১৭তম মিনিটে লিড হারানোর পর, ব্রাজিলের গিয়ার পরিবর্তন করার সময় ছিল না। শেষ দিকের গোলটি হজমের হতাশা থেকেছে পেনাল্টি শ্যুটআউটেও। শ্যুটআউটে ইতিবাচক থাকতে পারেনি তারা।'

অন্যদিকে দুই গোলের লিড পেয়েও টাই-ব্রেকারে গিয়ে জিততে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম পেনাল্টি নিতে গিয়েছিলেন দলের সেরা পেনাল্টি টেকার লিওনেল মেসি। সফলও হন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এরপর এঞ্জো ফার্নান্দেজ একটি শট মিস করলেও শেষ পর্যন্ত জয় পায় তারাই।

নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে আর্জেন্টিনা নিজেদের গুছিয়ে উঠতে পেরেছিল বলে মনে করেন ক্লিন্সম্যান, 'আর্জেন্টিনার জন্য, তাদের অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়েছে, এমনকি শেষ মিনিটে (ভৌট) ভেগহর্স্টের সমতাসূচক গোলের ধাক্কার পরেও। তাদের আরও ৩০ মিনিট খেলা বাকি ছিল। খেলার শেষে তারা পেনাল্টি শ্যুটআউটে যখন যায় তখন ধাক্কাটা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছিল।'

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

2h ago