শ্রীলঙ্কায় হোয়াটওয়াশ হওয়ার পরও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে যেখানে আশা স্মিথের

Steve Smith

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুর আগে নির্দ্বিধায় বলা যায় অস্ট্রেলিয়াই আছে সবচেয়ে বিপাকে। ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এই আসরের জন্য শুরুতে যে স্কোয়াড দিয়েছিলো তাতে বাধ্য হয়ে আনতে হয় পাঁচটি বদল। যে পাঁচজন নেই তারা প্রত্যেকেই প্রথম সারির। নতুন আদলের দল নিয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে সম্প্রতি হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তারা। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ তবু তরুণদের উপর বাজি রেখে বড় কিছুর আশাই করছেন।

চোটের কারণে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে ছিটকে যান নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল মার্শ। এদের না থাকার সঙ্গে ধাক্কা হয়ে আসে ওয়ানডে থেকে মার্কাস স্টয়নিসের আকস্মিক অবসর ও মিচেল স্টার্কের ব্যক্তিগত কারণে এই আসর থেকে সরে যাওয়া।

যে পেস আক্রমণ নিয়ে ২০২৩ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জিতেছিলো অজিরা, সেই পুরো আক্রমণই বদল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। এবার দলে এসেছেন ন্যাথান এলিস, শন অ্যাবট, বেন দারশিয়াস, ও স্পেনসার জনসন। শ্রীলঙ্কার মাঠে তাদের পারফরম্যান্স ছিলো মাঝারি।

স্মিথ অবশ্য এদের প্রত্যেকের মাঝেই দেখছেন বিপুল সম্ভাবনা,  'আমার মনে হয় তাদের সব রকম দক্ষতাই আছে। আমার জন্য তাদের নেতৃত্ব দেওয়া, যোগাযোগ করা ঠিক সময়ে ঠিক বিকল্প বেছে নেওয়া হচ্ছে কাজ।'

'তারা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন। বেন দারশিয়াস ও স্পেনসার জনসন বল স্যুয়িং করে ভেতরে আনতে পারে। শন (অ্যাবট) দুর্দান্ত লেন্থে ফেলতে পারে, ন্যাথান এলিস গতির বদল আনতে পারে।'

উপমহাদেশে খেলা বলে স্পিন হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ, সেই জায়গায় ভরসা দেখছেন স্মিথ, 'আমাদের দুজন স্পিনার আছে (অ্যডাম) জাম্পা ও তানভির (সাঙ্গা) যাদের দক্ষতা খুব ভালো। এছাড়া ম্যাক্সওয়েল ও শর্টও অনিয়মিত বোলার হিসেবে আসবে।'

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ওয়ানডের সিরিজে ব্যাটিংয়ে বেশি ধুঁকেছে অস্ট্রেলিয়া। ২১৫ রান তাড়ায় ১৬৫ ও ২৮২ রান তাড়ায় ১০৭ রানে গুটিয়ে দুই ম্যাচে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা।

ব্যাটিংয়ে ম্যাথু শর্ট, কোপার কনলি, জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগ্রুকের মতন অনভিজ্ঞদের খেলাতে হয়েছে, যারা শুরুর পরীক্ষায় ব্যর্থ। তবে এদের মধ্যে জ্যাক ফ্রেজারকে নিয়ে আশাবাদী স্মিথ, তার ধারণা পাকিস্তানের উইকেটে ঝড় তুলবেন এই তরুণ,  'সে অবশ্যই খুবই আগ্রাসী খেলোয়াড়। মাঠের চারপাশে শট খেলতে পারে। ঠিক সময়ে খেলাটা হচ্ছে আসল। সে হয়ত সেরকম রান করেনি। কিন্তু কিছু ভালো শট খেলে দেখিয়েছে প্রতিভা। এজন্যই সে দলে। সে বিপদজনক, পাকিস্তানের উইকেট তার জন্য মাননসই হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

7h ago