‘ইংলিশম্যান’ ইংলিসে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড

বিভিন্ন দেশে জন্ম নেওয়া অনেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে মাঠ মাতাচ্ছেন। বেশ পরিচিত ঘটনা। কিন্তু ইংল্যান্ডেই জন্ম নেওয়া একজন খেলছেন অন্য দেশের হয়ে। এই গল্প বলতে হয় ক্রিকেটবিশ্বে অচেনা। জস ইংলিসের বেলায় ঘটনা ঘটেছে এরকম।
২৯ বছর বয়সী ইংলিসের জন্ম হয়েছে ইংল্যান্ডের লিডসে। ইংলিশ পিতামাতার ঘরে সেখানেই শৈশব কেটেছে তার। ইংল্যান্ডের মাটিতে বেড়ে উঠেছেন ১৪ বছর পর্যন্ত। এরপর তার পরিবার পাড়ি জমিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়ায়।
ক্রিকেটের যাত্রায় একের পর এক সিঁড়ি বেয়ে ব্যাগি গ্রিন পরেছেন। শনিবার ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আইসিসি ইভেন্টের মতো বড় মঞ্চে। ৮৬ বলে ১২০ রান করে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
ইংলিসকে নিয়ে ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মজার এক মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার মাইকেল আথারটন স্টিভ স্মিথকে জিজ্ঞেস করেন- এখনো কি জশের কাছে ইংলিশ পাসপোর্ট আছে? জবাবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বলেন, 'আমি জানিনা। তাকে জিজ্ঞেস করতে হবে আপনার। সে কোথাও যাচ্ছে না যদিও।'
বি গ্রুপের ম্যাচটিতে ওয়ানডে সংস্করণের আইসিসি ইভেন্টে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৩৫২ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যাওয়ার পেছনে ৮ চার ও ৬ ছক্কার ইনিংসে বড় অবদান রেখেছেন ইংলিস। এত বড় পুঁজি নিয়ে এর আগে কখনো ৫০ ওভারের ক্রিকেটে হারেনি ইংল্যান্ড।
ইংলিস নিজে ছোটবেলায় ইংল্যান্ড দলকে সমর্থন দিতেন। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়, এখন আপনার মধ্যে ইংল্যান্ড ভক্তের অনুভূতি কেমন? ইংলিস উত্তর দেন, 'সেসব দিন চলে গেছে বহু আগে।'
জস বাটলারের দলকে হতাশায় ডোবানো ইংলিসকে নিজেদের দলে না পাওয়ার আফসোস হয়তো থাকবে ইংল্যান্ডের সমর্থকদের মনে। দেশটিতে থাকা ইংলিসের আত্মীয়স্বজনদের বার্তা ম্যাচের পরপরই আসতে শুরু করেছিল তার কাছে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরি হাঁকানো ইংলিসকে নিয়ে নিশ্চয়ই গর্বকারীদের দলে তারাও শামিল।
Comments