আফগান অধিনায়ক যেখানে অসহায়

hashmatullah shahidi

তালেবান শাসনে আফগানিস্তানে নারীদের উপর নেমে এসেছে চরম অমানবিক পরিস্থিতি। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রায় সব ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিবাদ, নিন্দাও জানানো হচ্ছে। খেলাধুলোতেও তারা অংশ নিতে পারছেন না। আফগানিস্তান পুরুষ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদি বললেন তিনি নারীদের খেলায় অংশ নেওয়া সমর্থন করেন তবে এরপরই জানালেন নিজের অসহায়ত্ব।

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর ক্রমাগত নারীদের জন্য বিরূপ পরিবেশ তৈরি হয়েছে দেশটিতে। খেলাধুলো, পড়াশোনা, বাইরে চলাচল সবই বন্ধ হয়ে গেছে মেয়েদের। সম্প্রতি নারীদের নাসিং শিক্ষাও বন্ধ করা হয়েছে দেশটিতে।

এর প্রতিবাদে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচ বাতিলের দাবি উঠে ইংল্যান্ডে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই ম্যাচ নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত খেলা মাঠে গড়ালেও প্রসঙ্গটি আড়াল হচ্ছে না।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন শহিদির কাছে নারীদের খেলা নিয়ে করা হয় প্রশ্ন। উত্তর কৌশলের আশ্রয় নিয়ে জবাব দেন আফগান কাপ্তান, 'হ্যাঁ (আফগান নারীদের খেলায় সমর্থন আছে)। সবাইকেই সবাই খেলায় দেখতে চায়। তবে আমি আরেকজনের উত্তরে বলেছি  রাজনীতি সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা কেবল ক্রিকেট খেলোয়াড়। মাঠের খেলাটাই আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। মাঠেই আমরা শতভাগ দিতে পারি।'

আরেকজনের প্রশ্নের যে কথা ইঙ্গিত করেছেন শহিদি সেটি ছিলো ইংল্যান্ডের মানুষের ম্যাচ বয়কটের আহবান সম্পর্কিত। তার উত্তরেও রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে না থাকার কথা বলেছেন তিনি।

অবশ্য আফগানিস্তান বড় দুই তারকা রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবি নারীদের নাসিং শিক্ষা বন্ধের প্রতিবাদ করেছিলেন।

চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের সরকারের নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা খুব কঠিন। এসব কিছু যে তাদের পছন্দ হচ্ছে না তবু তারা মাঝেমাঝে কিছুটা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago