'রিজওয়ান তুমি ফেরারি থেকে রিকশায় নেমে এসেছো!'

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের জন্য পুনরুদ্ধারের মঞ্চ। সাম্প্রতিক আইসিসি টুর্নামেন্টগুলিতে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর, স্বাগতিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানদের নিয়ে প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু দেখা গেছে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে তারাই!
'এ' গ্রুপে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে বিশাল হার দিয়ে যাত্রা শুরু করে পাকিস্তান। এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে খেলতে পাড়ি জমায় দুবাইয়ে। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে ভারত পাকিস্তানে না গিয়ে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে দুবাইতে খেলায় ম্যাচ নিয়ে অনেক বিতর্ক ছিল। কিন্তু ম্যাচ নিয়ে এত আলোচনা, তা শেষ পর্যন্ত একপেশে লড়াইয়ে।
বিরাট কোহলির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সহজ জয় পায় ভারত। ম্যাচ জেতানো ইনিংসে নিজের ৫১তম ওডিআই সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বিরাট কোহলি। এই হার পাকিস্তানের জন্য কার্যত নকআউট ধাক্কা হয়ে আসে। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারে বিদায় নিশ্চিত হয় তাদের।
আসরে এমন বিদায়ের পর থেকেই তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। বিশেষকরে অধিনায়ক রিজওয়ানকে কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকেই। এক সময়ের সতীর্থ ও সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমিরও ছাড় দেননি। রিজওয়ানের নেতৃত্ব নিয়ে বলেছেন, 'রিজওয়ান... (হাসি) তুমি ফেরারি থেকে রিকশায় নেমে এসেছো!'
'এক সময় আমি রিজওয়ানকে পছন্দ করতাম, কারণ সে ঘরোয়া ক্রিকেট ও পিএসএলে অধিনায়কত্ব করেছে এবং সেখানে সফল ছিল। তার দল ফাইনালও খেলেছে। কিন্তু হঠাৎ করে ২-৪ মাসের মধ্যে তার সিদ্ধান্তগুলো বদলে যেতে লাগলো। আমি জানি না কেন বা কী হয়েছে, কারণ আমি ২-৪ মাস ধরে তার সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করিনি। কিন্তু সে যেভাবে আচরণ করছে, তার সিদ্ধান্তগুলো খুবই অদ্ভুত লাগছে,' যোগ করেন আমির।
প্রথম দিকে রিজওয়ানকে সাহসী অধিনায়ক মনে হলেও, কয়েক মাসের মধ্যেই তার সিদ্ধান্তগুলো সন্দেহজনক হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেন আমির। তিনি দাবি করেন, 'যদি অধিনায়ক বলে যে তার কোনো ক্ষমতা ছিল না, তাহলে সেটা মিথ্যে। তার কাছে ক্ষমতা ছিল। যেভাবে রিজওয়ানকে অধিনায়ক করা হয়েছে, সেভাবে সে চাইলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারত, কিন্তু সে তা করেনি। আমি জানি না কেন।'
এছাড়া, ফখর জামান ইনজুরির পর দলে ইমাম-উল-হককে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি। আমির মনে করেন, পাকিস্তান দলে একজন স্পিনার অন্তর্ভুক্ত করা দরকার ছিল, কিন্তু তারা সুযোগ কাজে লাগায়নি। তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, তাহলে পাকিস্তান ক্রিকেট ২০ বছর পিছিয়ে পড়তে পারে।
Comments