আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস

১২ বছর পর বিশকাপে ফিরে শুরুটা ভালো করেছে নেদারল্যান্ডস।

পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস

১২ বছর পর বিশকাপে ফিরে শুরুটা ভালো করেছে নেদারল্যান্ডস।
পাকিস্তান বনাম নেদারল্যান্ডস

বাছাই পর্বে বেশ চমক দেখিয়ে ১২ বছর পর ফের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। মূল পর্বের শুরুটাও ভালো করেছে দলটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে অসাধারণ বোলিংয়ে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তানের মতো দলকে আটকে দিয়েছে তিনশর আগেই। এমনকি পাকিস্তানি ব্যাটারদের খেলতে দেয়নি পুরো পঞ্চাশ ওভারও।  

শুক্রবার হায়দারাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রান করে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। অর্থাৎ জিততে হলে ২৮৭ রান করতে হবে নেদারল্যান্ডসকে। 

পাকিস্তানের ইনিংসের রঙ পরিবর্তন হয়েছে দফায় দফায়। এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল ২০০ রান করাও কঠিন তাদের জন্য। আবার কখনো মনে হয়েছে ৩০০ রানও হেসেখেলেই করবে দলটি। তবে শেষ দিকে লেজের ব্যাটারদের কৃতিত্বে লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে পাকিস্তান।

এদিন দলীয় ৩৮ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ১৫ রানেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। আরও একবার ব্যর্থ হন ওপেনার ফখর জামান। লোগান ফোন বিকের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে বোলারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার। গত এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তিন সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর থেকেই বাজে সময় পার করছেন তিনি। ১৫ বলে ১২ রান করেন আসে তার ব্যাট থেকে।

তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক বাবর আজমও। ডাচ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে উইকেটে নেমেই রানের জন্য হাঁসফাঁস করছিলেন তিনি। পরে অ্যাকারম্যানের বলে স্লগ করতে গেলে শর্ট মিডউইকেটে ধরা পড়েন সাকিব জুলফিকারের হাতে। ১৮ বলে করেন ৫ রান। আর পল ফোন মিকেরিনের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে সীমানায় আরিয়ান দত্তের ক্যাচে পরিণত হন আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হক। ফলে বড় বিপদে পড়ে যায় তারা।

এরপর সাউদ শাকিলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১২০ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলে দলকে বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন এ দুই ব্যাটার। কিন্তু হুট করেই যেন ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। আরিয়েনের বলে সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে হেরফের করে শূন্যে তুলে বিদায় নেন শাকিল। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। ৫২ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিজওয়ানও। বাদ ডি লিডের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ঘোরাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার ব্যাট থেকেও আসে ৬৮ রান। ৭৫ বলে ৮টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এরপর ইফতিখার আহমেদ (৯) জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে সাজঘরে ফিরলে ফের চাপে পড়ে যায় দলটি।

ফের দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর শাদাব খানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। এ দুই ব্যাটার যখন খেলছিলেন তিনশ রান মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। ৬৪ রানের এ জুটি ভাঙেন ডি লিড। ব্যক্তিগত ৩২ রানে শাদাব খানকে বোল্ড করে দেন তিনি। পরের বলে হাসান আলীকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ডি লিড। এরপর নাওয়াজ রানআউট হলে তিনশ রান স্বপ্নই থেকে যায় পাকিস্তানের জন্য। নাওয়াজ ৩৯ রান করেন।

নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ৬২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান ডি লিড। ২টি শিকার অ্যাকারম্যানের।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago