আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

ইংল্যান্ডকে চারশোর নিচে আটকে রাখাই এখন সাফল্য!

জায়গা বল ফেলতে না পারা, চতুরতা দেখাতে না পারায় বাংলাদেশের বোলিং ছিল হতশ্রী। একমাত্র সাকিবের ইকোনমি ছিল ছয়ের নিচে

ধর্মশালা থেকে

ইংল্যান্ডকে চারশোর নিচে আটকে রাখাই এখন সাফল্য!

বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড

শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়ে বসলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। জনি বেয়ারস্টো আর ডাভিড মালানকে থামানোর কোন পথই যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তবু এই ঝড়ের রাশ টেনে ধরতে পেরেছিলেন কিছুটা, বাকিদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি কোন ছিটেফোঁটা। ইংল্যান্ডকে চারশো নিচে আটকে রাখাই তাই শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলামদের সাফল্য বলতে হচ্ছে।

ধর্মশালার মাঠে সকাল থেকে বিপুল আশা নিয়ে হাজির হন লাল সবুজের সমর্থকরা। বাংলাদেশের আগে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তে মানুষের আশা ছিল চাপে থাকা ইংল্যান্ডকে তিনশোর নিচে আটকে দিবেন সাকিবরা। তা তো হয়ইনি, বরং ইংল্যান্ড চারশো করেনি সেই স্বস্তিতে ভাসতে হচ্ছে। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান করে ইংল্যান্ড শেষ ৬৩ বলে ৭ উইকেট খুইয়ে তুলে স্রেফ ৬৮ রান। স্লগ ওভারে ওই সাফল্য না এলে নিশ্চিতভাবে চারশো ছাড়ানো পুঁজি পেত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। 

জায়গা বল ফেলতে না পারা, চতুরতা দেখাতে না পারায় গোটা ইনিংসে বাংলাদেশের বোলিং ছিল হতশ্রী। একমাত্র সাকিবের ইকোনমি ছিল ছয়ের নিচে। মিরাজ ছিলেন সবচেয়ে বিবর্ণ। তার ছয় ওভার থেকে খসেছে ৫৫ রান। মোস্তাফিজুর রহমান কিছু বল ভালো করলেও ৭০ রান দেন ১০ ওভারে। তাসকিন আহমেদকে ছয় ওভারের বেশি করাননি সাকিব। তাতেই সাতের উপর রান দেন তিনি। শরিফুল ৩ উইকেট পেলেও দেন ৭৫ রান। শেখ মেহেদী ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার। তবে ৮ ওভারে তিনি বিলিয়েছেন ৭১ রান।

উইকেট ব্যাট করার জন্য স্বর্গ। এমন বাইশগজে ইংলিশ ব্যাটারদের আটকানো কঠিন। তবে বিশ্বকাপ মঞ্চের চ্যালেঞ্জে নিতে হতো সেই কঠিন চ্যালেঞ্জ। বোলাররা এই জায়গায় মোটা দাগে ব্যর্থ হয়েছেন বলাই যায়। সাকিবকে বাকি সবার থেকে কিছুটা আলাদা করতেই হচ্ছে। ১০ ওভারের স্পেলে ৫৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১৮তম ওভারে প্রথম ব্রেক থ্রোও আনেন সাকিব। আর্ম ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন ফিফটি করা বেয়ারস্টোকে। ১১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ধাক্কাটা মোটেও গায়ে লাগেনি ইংল্যান্ডের।

নিজেকে আমূল বদলে ফেলা জো রুট নেমে বদলে দেন পরিস্থিতি। সাকিবকে রিভার্স সুইপে করে দেন এলোমেলো। আরেক পাশে খুনে মেজাজে থাকা মালান নিজে ভুল না করলে আটকানোর পথ মিলছিল না। সেই ভুল তিনি করলেন শেখ মেহেদী বলের।  ছক্কা পেটাতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড মালান। জস বাটলার এসেও ক্যামিও ইনিংস থামান মারার তালে।

এসব উইকেটে বোলারদের কৃতিত্ব ছিলো না। হ্যাঁ শরিফুল ইসলাম শেষ দিকে মাথা খাটিয়ে কিছু গতির তারতম্য করেছেন। তাতে ৬৮ বলে ৮২ রানের ইনিংস থেমেছে রুটের। বিপদনজক লিয়াম লিভিংস্টোন এসে আলতো ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে মিস করেছেন লেন্থ।

৪০ ওভার পর মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড চারশো ছাড়িয়ে যাবে। ওই ফেইজে শরিফুল-মেহেদীর প্রশংসা করতে হয়। স্যাম কারান, লিভিংস্টোন, হ্যারি ব্রুকদের একের পর এক ফিরিয়ে কিছুটা ভরসা ফেরান দলের।

লম্বা  ব্যাটিং লাইন নিয়ে খেলা ইংল্যান্ডকে তবু সাড়ে তিনশোর নিচে থামানো যায়নি। বাংলাদেশকে এখন তাই নিতে হবে রেকর্ড গড়ে জেতার চ্যালেঞ্জ।

Comments

The Daily Star  | English

Early US intel assessment suggests strikes on Iran did not destroy nuclear sites: CNN

Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu said Israel had agreed to Trump's ceasefire proposal

2d ago