আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

বাস্তবতার আয়নায় নিজেদের দেখলেন সাকিবরা

নিজেদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে বেশ অহং ছিল বাংলাদেশের। দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে ভালো করলেও বড় আসরে বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পরীক্ষা ছিল বাকি। প্রথম পরীক্ষায় পড়ে ফল মিলল বেশ হতাশার।  ইংল্যান্ডের সামনে পড়ে হতশ্রী চেহারা বেরিয়ে এলো প্রকটভাবে। ব্যাটিংয়ের গল্পটা সেই পুরনো। 

ধর্মশালা থেকে

বাস্তবতার আয়নায় নিজেদের দেখলেন সাকিবরা

বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড

নিজেদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে বেশ অহং ছিল বাংলাদেশের। দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে ভালো করলেও বড় আসরে বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পরীক্ষা ছিল বাকি। প্রথম পরীক্ষায় পড়ে ফল মিলল বেশ হতাশার।  ইংল্যান্ডের সামনে পড়ে হতশ্রী চেহারা বেরিয়ে এলো প্রকটভাবে। ব্যাটিংয়ের গল্পটা সেই পুরনো।  প্রতিপক্ষের বড় রানের সামনে লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিম ছাড়া অভিপ্রায় দেখা গেলো না কারো ব্যাটে। কুঁকড়ে থাকা লাল সবুজের প্রতিনিধিরা গোটা ম্যাচ থেকে ইতিবাচক বার্তা খুঁজে বের করতে পারার অবস্থায় আসলে নেই।

ইনিংস বিরতিতেই ম্যাচের হয়ত অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায়। ৩৬৫ রানের রেকর্ড লক্ষ্য তাড়া করতে যে রসদ দরকার, ব্যাটিং লাইনআপে তা আছে বলে কোন আত্মবিশ্বাস ছিল না গোটা দলের। ২২৭ রানে গুটিয়ে ১৩৭ রানের হার তুলে ধরছে হতাশার ছবি।

এই ম্যাচে প্রাপ্তি কি? এমন গৎবাঁধা কথায় হয়  গত কদিন ধরে ছন্দহীন থাকা লিটন ৭৬ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস টেনে আনা যায় । তার অভিপ্রায় ছিল ইতিবাচক। ২৬ রানে ৩ উইকেট পড়ার পরও খোলস বন্দি হননি। বাউন্ডারি বের করেছেন, রানের চাকা করেছেন সচল।

৩৯ বলে ফিফটি পেরিয়ে এগুচ্ছিলেন সাবলীলভাবে। পঞ্চম উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ৭২ রান এসেছে ৭৫ বলে। লিটন শেষ পর্যন্ত থাকলে হয়ত সামান্য কোন সুযোগ তৈরি হলেও হতে পারত। তিনি ৭৬ রানে থামতেই ম্যাচ প্রায় মৃত।

হারের ব্যবধান কত হবে সেই নিয়েই যেন যত হিসেব নিকেশ। মুশফিকও ফিফটি পেরিয়েছেন, তবে ওভারপ্রতি দশের উপর রান আনার চাহিদার চাপে আর এগুনো হয়নি।

এরপর তরুণ তাওহিদ হৃদয় যে ব্যাটিং দেখিয়েছেন তা যথেষ্টই প্রশ্নবিদ্ধ। তার অ্যাপ্রোচে ছিল না ইতিবাচক ভাষা, অনেকটা টিকে থাকার জন্য খেলে গিয়ে ভুল বার্তা দিয়েছেন তিনি। ৪০তম ওভারে ৬১ বল খেলে ৩৯ করে বিদায় নেন।

আটে নামা শেখ মেহেদী হাসানের যে ব্যাটিং নিয়ে এখনো অনেক কাজ করার আছে সেই ছবি বোঝা গেছে স্পষ্ট। ১৪ রান করতে তার লেগেছে ৩২ বল।

ব্যাটিংয়ের এই চেহারার আগেই নিজেদের গর্বের জায়গা চূর্ণ করে এসেছে বাংলাদেশ। এক সাকিব আল হাসান ছাড়া কেউই ইকোনমি ছয়ের নিচে রাখতে পারেননি।

ব্যাটিং স্বর্গে মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিং থেকে যে বিশেষ কিছু পাওয়ার নেই, সেই বাস্তবতা টের পাওয়া গেছে। স্রেফ ৬ ওভার বল করেই ৫৫ রান বিলিয়েছেন তিনি।

মোস্তাফিজুর রহমান কিছু ভালো বল করলেও ১০ ওভারে দিয়েছেন ৭০ রান। তাসকিন আহমেদকে দিয়ে ৬ ওভারের বেশি করানোই যায়নি।

শেখ মেহেদী আর শরিফুল ৩ উইকেট করে পেয়েছেন বটে। তবে তার বেশিরভাগই ব্যাটারদের ইনিংসের শেষ দিকে ঝড় তোলার তাড়নার ফলে আসা।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ক্রিকেট গোটা দুনিয়া নাড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই জয়ের স্মৃতি সঙ্গী করে আর কতদিন? এরপর ২০১৯ ও এবার মিলিয়ে ইংল্যান্ডের কাছে লড়াইও করা যায়নি। দুবারই ইংল্যান্ড সাড়ে তিনশো ছাড়িয়েছে। দুবারই ওই বিশাল রান তাড়ার পিছে ছুটে যাওয়ার অভিপ্রায় দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English

3 killed in Iranian missile strike on southern Israel, says MDA

Trump brokered ceasefire agreement in contact with Israel, Iran: White House official

2d ago