আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

কখনও কখনও ক্র্যাম্প, কখনও কখনও অভিনয়: রিজওয়ান

মাঠে এতটা সময় কাটালে ক্র্যাম্প হওয়া বা পেশিতে টান লাগা অস্বাভাবিক নয়। রিজওয়ানের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই ঘটে।

কখনও কখনও ক্র্যাম্প, কখনও কখনও অভিনয়: রিজওয়ান

মাঠে এতটা সময় কাটালে ক্র্যাম্প হওয়া বা পেশিতে টান লাগা অস্বাভাবিক নয়। রিজওয়ানের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই ঘটে।
চোটের অভিনয় করেছেন রিজওয়ান
ছবি: এএফপি

টানা ৫০ ওভার উইকেটকিপিং করেন। এরপর বিশ্রামের সুযোগ জোটেনি বেশি। দ্রুত ২ উইকেট পড়ে যাওয়ায় ইনিংসের অষ্টম ওভারেই ব্যাট হাতে ক্রিজে যেতে হয় মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। পাকিস্তানকে স্মরণীয় জয় পাইয়ে দেওয়ার পথে আরও ৪১ ওভার মাঠে থাকেন তিনি। নিজে মোকাবিলা করেন ১২১ বল। তুলে নেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি

মাঠে এতটা সময় কাটালে ক্র্যাম্প হওয়া বা পেশিতে টান লাগা অস্বাভাবিক নয়। রিজওয়ানের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই ঘটে। একবার তো ছক্কা মেরে ক্র্যাম্পের যন্ত্রণায় তৎক্ষণাৎ মাটিতে পড়ে যান। তিনি ব্যথায় কাতর হয়ে পড়লেও তার পড়ে যাওয়ার দৃশ্যটি কৌতুকপূর্ণ হওয়ায় তুমুল হাসাহাসি করতে থাকেন ধারাভাষ্যকাররা। তাদের মধ্যে ছিলেন সাইমন ডুল। নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা সেসময় বলে ওঠেন, 'দয়া করে কেউ ওকে (রিজওয়ান) চলচ্চিত্রে নিয়ে আসুন।'

সেটা ছিল পাকিস্তানের ইনিংসের ৩৭তম ওভারের ঘটনা। ক্র্যাম্পের কারণে মাটিতে শুয়ে পড়ার আগে শ্রীলঙ্কার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা হাঁকান রিজওয়ান। পরে এই প্রতিকূলতা সরিয়ে এগোতে থাকেন। তার ও আব্দুল্লাহ শফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড গড়ে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার নজির স্থাপন করে বাবর আজমের দল। লঙ্কানদের দেওয়া ৩৪৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ৬ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখে।

বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি পাওয়া শফিক ১০৩ বলে করেন ১১৩ রান। রিজওয়ান দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি বুঝে অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন তিনি। অপরাজিত থাকেন ১৩১ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে আটটি চার ও তিনটি ছক্কা। ম্যাচসেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় রিজওয়ানকে প্রশ্ন করা হয় ক্র্যাম্প নিয়ে। ধারাভাষ্যকারদের মতো তিনিও হাসতে হাসতে মজার ছলে জবাব দেন, 'কখনও কখনও এটা ক্র্যাম্প, কখনও কখনও এটা অভিনয়।'

সামনে বড় পাহাড় ডিঙানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকলেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন রিজওয়ানরা, 'এরকম পারফর্ম করলে আপনি সব সময়ই গর্ববোধ করবেন। এটা কঠিন ছিল এবং যখন আপনি এরকম কোনো লক্ষ্য তাড়া করে ফেলেন, সেটা সব সময়ই বিশেষ কিছু। আমাদের ড্রেসিং রুমে প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই বিশ্বাস ছিল যে আমরা এই রান তাড়া করে জিততে পারব।'

বড় লক্ষ্যও একরকম অনায়াসে স্পর্শ করার পেছনের ঘটনা তুলে ধরেন রিজওয়ান, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাবরকে তারা দ্রুতই আউট করে ফেলে। তবে এরপর আমরা ভালো জুটি পেয়েছি। মূলত, এটা খুবই ভালো একটা উইকেট, আমাদেরকে সহায়তা করছিল। আমি শফিককে বলেছিলাম ধাপে ধাপে এগোতে।'

Comments