বের করে দিতে নয়, ‘অস্বস্তিবোধ’ করায় নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়েছিলেন লিটন

টিম হোটেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করা লিটন দাসের পাশে দাঁড়িয়েছে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি মনে করেন কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়, ফুটেজ নিতে দেখে কেবল অস্বস্তিবোধ করায় নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়েছিলেন তিনি।
রোববার ছুটির দিনে টিম হোটেলে এক অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম হয়। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু কথা বলবেন ভেবে পুনের হোটেল কনরাডে যান সাংবাদিকরা। সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান কালে মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, তাওহিদ হৃদয়দের ফুটেজ নেন তারা।
এসব ক্রিকেটের লাঞ্চ করতে বেরুনোর সময় ফুটেজ নিতে আপত্তি না করলেও বিপত্তি বাঁধে লিটনের বেলায়। লিটনের ফুটেজ যখন নিচ্ছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক তখন এই ব্যাটার তাতে বিরক্ত হন। নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে এটা জানালে তারা সাংবাদিকদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।
এই ঘটনার পর তুমুল সমালোচনায় পড়েন লিটন। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তার এমন আচরণে প্রতিক্রিয়া আসে তীব্র। সোমবার সকালে অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন এই ক্রিকেটার।
সোমবার দুপুরে টিম হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুজন। তাতে অনুমিতভাবেই আসে এই প্রসঙ্গ। বিসিবির পরিচালক ও এই ট্যুরের প্রধান সুজন জানান, পুরো বিষয়টা আসলে ভুল বোঝাবুঝি, 'অবশ্যই বিসিবি চিন্তিত। লিটন ইতিমধ্যে তার ফেসবুক পেজ থেকে 'স্যরি' বলেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে আসলে সে এটা করেনি। সে আপনাদের বের করে দিয়েছে এ কথা বলেনি কোনো সময়। হয়তো সে অস্বস্তি থাকায়…(এমনটা করেছে)।'
'আমি যেটা লিটন থেকে জেনেছি, সে অস্বস্তিবোধ করেছে, সেটাই নিরাপত্তাকর্মীকে জানিয়েছে। নিরপত্তাকর্মী আপনাদের কীভাবে বলেছে, সেটা আমি জানি না। আবার বলছি আমার মনে হয়, এটা ইচ্ছাকৃত না।'
দেশের বাইরে সিরিজ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ প্রত্যাশিত নয় বলেও জানান সুজন, 'সব সময় যেটা চিন্তা করি, আপনারা দূর থেকে, বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। আমাদের দেশের জন্য একটা লজ্জাজনক ব্যাপার একটা। আমাদের মিডিয়াকে যদি এখান থেকে সরে যেতে বলে, সেটা আমাদের জন্য ঠিক নয়।'
তবে ম্যাচের আগের দিন ছাড়া ক্রিকেটারদের গণমাধ্যমের সামনে হাজির করতে নিজেদের পুরনো সিদ্ধান্ত আবার মনে করিয়ে দেন এই বোর্ড পরিচালক। 'আমরা সব সময় আপনাদের উৎসাহ দিই, ছবি তোলেন, ভিডিও করেন। অবশ্যই আমরাও একটা দূরত্ব রেখেছি আপনাদের সামনে। আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আমরা শুধু ম্যাচের আগের দিনই কাউকে দিচ্ছি কথা বলতে। আমরা চাচ্ছি ছেলেরা মানসিকভাবে দূরে থাকুক। ক্রিকেটের সঙ্গে থাকুক, ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করুক। আবারও বলছি আমরা দুঃখিত।'
'আসলে এটা আমাদের সবার কাছেই অপ্রত্যাশিত, লিটন এটা কীভাবে বলল। কিন্তু আমি লিটনের সঙ্গে কথা বলেছি, আজ সকালেও বলেছি, আসলে সে বলেছে, "স্যার (খালেদ মাহমুদ), আমি কাউকে ছোট করতে চাইনি। ঠিক আছে এটা আমার ভুল হয়েছে। হয়তো আমি অস্বস্তিতে ছিলাম বলে…। ক্যামেরাটা আমার মুখের সামনে নিয়ে আসছিল বার বার, এ জন্য…"।'
এবার বিশ্বকাপে দলগুলোর টিম হোটেলে গণমাধ্যমের কোন কার্যক্রম রাখা হয়নি। বেশিরভাগ ভেন্যুতে টিম হোটেলে গিয়ে ফুটেজ নিতে ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা।
Comments