কীর্তিমান ও তাদের কীর্তি স্মরণ রাখা যেখানে ক্রিকেট সংস্কৃতি

ভারতের স্টেডিয়ামগুলোতে এই সংস্কৃতি বেশ পুরনো। স্থানীয় কীর্তিমান ক্রিকেটার ও তাদের কীর্তি বিভিন্নভাবে স্মরণ রাখার চেষ্টা করা হয়। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামও ব্যতিক্রম না। এখানে গেট, প্যাভিলিয়ন, স্ট্যান্ড, বক্স নানান জায়গায় জুড়ে আছে বিখ্যাত ক্রিকেটারদের নাম। স্মরণ রাখা হয়েছে তাদের কীর্তি।
প্রায় অর্ধ শতাব্দী এই পুরনো মাঠে ঐতিহাসিক ম্যাচ আর রেকর্ডের সংখ্যা কম নয়। এখানেই রবি শাস্ত্রী ছয় বলে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন, ২০১১ সালে এই মাঠেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। মাহেন্দ্র সিং ধোনির আইকনিক ছক্কার জায়গা তো আলাদা করেই রাখা হয়েছে। কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার এই মাঠে খেলেন জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

মূল গেইট দিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতেই চোখে পড়বে নাম ভিনু মানকড় গেট। মানকাডিংয়ের জন্য নামটা সবার কাছে পরিচিত হলেও ভিনু মানকড় ছিলেন দুর্দান্ত এক অলরাউন্ডার।

দুই হাজারের বেশি টেস্ট রানের সঙ্গে ১৬৩ উইকেট আছে তার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রথম টেস্ট জেতারও নায়ক ভিনু। লর্ডসের অনার্স বোর্ডে ১৮৪ রান করে তখনই নাম উঠিয়েছিলেন তিনি।

ক্রিকেটের বাইরেও মানুষও অবশ্য একজন আছেন। ওয়াংখেড়ের প্রেসবক্সের নামকরণ করা হয়েছে বালাসাহেব ঠাকরের নামে। সাংবাদিকতা দিয়ে পেশা শুরুর পর প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হন ঠাকরে। কমেন্ট্রি বক্সের দিকেও স্মরণিকা আছে। ঘরের ছেলে সুনীল গাভাস্কারের নামে করা হয়েছে একটি বক্স। সুনীলের নামে প্যাভিলিয়ন তো আছেই।

শচীনের নামে আছে একটি স্ট্যান্ড। তার একটি অবক্ষমূর্তিও তৈরি হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর এই মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ম্যাচের আগে স্বয়ং শচীন এসে উদ্বোধন করবেন নিজের মূর্তির।

পলি উমরিগড়, গায়কোয়াড়, দীলিপ ভেংকসরকার, বিজয় মার্চেন্টের নামেও আছে প্যাভিলিয়ন। মজার কথা হলো ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি থাকার সময় নানাসাহেব ওয়াংখেড়র সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছিলেন তিনি। ওয়াংখেড়ে মাঠ করতে পারবেন না বলে চ্যালেঞ্জও দিয়েছিলেন। মাঠ করে দেখিয়েছেন তখনকার মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি। কীর্তিমান ক্রিকেটার হিসেবে বিজয়কেও এখানে রাখা হয়েছে স্মরণে।
Comments