আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই: সাকিব

কলকাতায় লড়াইবিহীন ৭ উইকেটের হার দেখতে হয়েছে বাংলাদেশি সমর্থকদের। হতাশায় ডুবন্ত দর্শকদের মুখে হাসি ফেরাতে চান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও।

দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই: সাকিব

সাকিব আল হাসান

ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা বাংলাদেশের মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার অবস্থা। আরেকবার বিশ্বকাপে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ। কলকাতায় লড়াইবিহীন ৭ উইকেটের হার দেখতে হয়েছে বাংলাদেশি সমর্থকদের। হতাশায় ডুবন্ত দর্শকদের মুখে হাসি ফেরাতে চান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও।

ম্যাচ শেষে প্রেজেন্টশনে কলকাতায় দর্শক উপস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাকিব বলেন, 'আমরা যেখানেই যাই, তারা আমাদের সমর্থন দিতে থাকে। তারা মাঠে আসে, তারা সবসময় আমাদের পাশে থাকে ভালো করি আর খারাপ। তারা আমাদের বড় শক্তি। আমাদের তাদেরকে কিছু ফিরিয়ে দিতে হবে, যাতে তাদের মুখে হাসি ফুটতে পারে।'

কিন্তু বাংলাদেশ কেন বারবার হতাশ করছে, সে উত্তর সাকিবও খুঁজছেন, 'আমাদের একসাথে পারফর্ম করতে হবে। কোন ব্যক্তি আমাদের জেতাতে পারবে না। আমাদের সমষ্টিগত পারফরম্যান্সের দরকার। যা হচ্ছে না। আমরাও উত্তর খুঁজছি, কিন্তু পাচ্ছি না। দুইটা ম্যাচ বাকি, আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।'

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংস শেষেই হারের বন্দোবস্ত হয়ে যায় বাংলাদেশের। মাত্র ২০৪ রানেই গুটিয়ে যাওয়াতে পিচের ভূমিকা দেখছেন না সাকিব, 'হ্যাঁ, রান বেশি হয়নি। আমার মনে হয় উইকেট খুব ভালো ছিল। আমরা আবার শুরুতে উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। এরপর কিছু পার্টনারশিপ হয়েছে। তবে সেগুলো বড় হয়নি যা আমাদের এমন একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে পারত, যে আমরা শেষ দশ ওভারে পুরোদমে আক্রমণ করতে পারতাম।'

ব্যাট হাতের পারফর্ম্যান্সে সাকিব হতাশা ব্যক্ত করেছেন এদিনও। তবে নিজেও ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে পড়েছিলেন। কলকাতায় ৪৩ রানের ইনিংস খেলে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন অন্তত। গেল বিশ্বকাপে নাম্বার তিনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা সাকিব এবার ব্যাট করছেন না টপ চারে। ব্যাটিং অর্ডারে তার উপরের দিকে আসার ব্যাপারে সাকিব বলেন, 'সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে আসলে। এই মূহুর্তে আমরা টপ চার থেকে যথেষ্ট রান পাচ্ছি না। আমিও ব্যাট করেছি। রান করতে পারিনি বলে আমার আত্মবিশ্বাসেও ঘাটতি ছিল। আজকে রান পেয়েছি, ভালো অনুভূতি হচ্ছে। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। তবে এখনকার অবস্থায় বেশি পরিবর্তন করা কঠিন হবে।'

ব্যাটিংয়ে ভোগান্তিতে ছিলেন এ ম্যাচের ম্যাচসেরা হওয়া ফখর জামানও। এ ম্যাচের আগের ১১ ওয়ানডেতে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৩। এদিন ৮৭ রান করে ম্যাচ-সেরার পুরস্কার নিতে এসে ফখর বলেন, 'অনেকগুলো ব্যর্থতার পর, আমি শুধু এতদিন প্রথমে ত্রিশটা রানই করতে চেয়েছিলাম। সেটা করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছিল আমাকে।'

মাঝখানের ব্যর্থতায় একাদশের বাইরের সদস্যই হয়ে গিয়েছিলেন। সে বিরতি সাহায্য করেছে অবশ্য বলছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার, 'ম্যাচের বাইরে থাকা সাহায্য করেছে। আমি অনেক অনুশীলন করেছি এশিয়া কাপের পর থেকে। ক্যাম্পে ভালো বোধ করেছি। বড় স্কোর করতে চেয়েছি, কিন্তু এটা তো ক্রিকেট।'

৮৭ রানের ইনিংস খেলতে গিয়ে পিচ কেমন আচরণ করবে সে চিন্তা ছিল না ফখরের মাথায়, 'আমি আব্দুল্লাহর সাথে কথা বলছিলাম। প্রথম চার ওভার দেখেশুনে খেলবো, এরপর পিচ যেরকমই হোক ছয়ের চেষ্টায় যাবো। কারণ আমি জানি আমি ছয় মারতে পারি এবং আমার ভূমিকা কী।'

পাকিস্তানি ব্যাটারদের বাড়তি আক্রমণে যেতে দেখা যায় শেষের দিকে। নেট রানরেটে যে তাদের মনোযোগ ছিল সেটা জানিয়েছেন ফখর জামান, 'নেট রানরেট আমাদের মাথায় ছিল। একশ পেরিয়ে যাওয়ার পরই আমরা চাইছিলাম খেলা ত্রিশ ওভারের আগে শেষ করে দিতে।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat calls for mass rally after Juma prayers demanding AL ban

The announcement came during an ongoing protest programme that began last night in front of Jamuna.

59m ago