আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

সেঞ্চুরি নয়, দলের দ্রুত জয় নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন ফখর

৩২.৩ ওভারে ২০৫ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যাওয়ায় রানরেটের বেশ উন্নতি হয়েছে পাকিস্তানের

সেঞ্চুরি নয়, দলের দ্রুত জয় নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন ফখর

ব্যক্তিগত ৮১ রানে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফখর জামান যখন আউট হন, তখনও জয় থেকে ৩৬ রান দূরে ছিল পাকিস্তান। চাইলে হয়তো কিছুটা দেখে শুনে খেলেই তিন অঙ্কের ছোঁয়া পেতে পারতেন। কিন্তু তখন নিজের ব্যক্তিগত অর্জন নয়, দলের রানরেট বাড়ানোর জন্য আগ্রাসী ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছিলেন এই ওপেনার।

বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের দিন ৭ উইকেটের জয়ে হারানো আত্মবিশ্বাসে কিছুটা রশদ পেয়েছে পাকিস্তান। জটিল সমীকরণে এখনও টিকে আছে তাদের সেমি-ফাইনাল খেলার আশা। সবচেয়ে বড় কথা ৩২.৩ ওভারে ২০৫ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যাওয়ায় নিট রানরেটের বেশ উন্নতি হয়েছে। শেষদিকে যদি সেমির দৌড়ে অন্য দলের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলে তা কাজে লাগতে পারে তাদের।

মূলত এই জটিল পরিস্থিতির কারণেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে গিয়েছেন ফখর। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেছেন, 'আমি বড় স্কোর করতে চেয়েছিলাম কিন্তু, আপনি জানেন, এটা ক্রিকেট। আমি আবদুল্লাহর সঙ্গে কথা বলছিলাম যে আমি প্রথম চার ওভার দেখব এবং তারপর পিচ যেমনই থাকুক না কেন ছক্কা মারব কারণ আমি জানি আমি পারি এবং আমি আমার ভূমিকা জানি।'

'আর নিট রানরেটের ব্যাপারটাও আমাদের মনে ছিল। ১০০ রানের পরে, আমরা ৩০ ওভারের মধ্যে ম্যাচ শেষ করতে চাইছিলাম। অনেক ব্যর্থতার পর, আমি শুধু প্রথম ৩০ রান করতে চেয়েছিলাম এবং সংগ্রাম করছিলাম। আশা করছি, আগামী ম্যাচে আমি এটাকে বড় করতে পারব,' যোগ করেন ফখর।

এরপর সংবাদসম্মেলনেও প্রায় একই কথা বলেছেন এই ড্যাশিং ওপেনার, 'আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি, এ অবস্থায় ম্যাচটা ২৮-২৯ ওভারে শেষ করতে চেয়েছি। তাই আক্রমণাত্মক ছিলাম। এমনিতে আমার জন্য ১০০ করা খুব সহজ ছিল। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ছিল দ্রুত রান তাড়া করা।'

এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচে খেলা পরই বাদ পড়ে যান ফখর। মাঝে পাঁচটি ম্যাচ তাকে ছাড়াই খেলে বাবর আজমের দল। অবশ্য কিছুটা চোট সমস্যাও ছিল মাঝে। তবে তার নিয়মিত ওপেনিং সঙ্গী ইমাম-উল-হকও ছন্দ হারিয়ে ফেলায় ফের জায়গা পান ফখর। আর ফিরেই দলের জয় দারুণ ভূমিকা রেখে হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago