পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসটিকে ক্যারিয়ারের সেরা বলছেন কোহলি
সপ্তম ওভারে ৩১ রানে নেই ৪ উইকেট। পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য তখন ভারতের জন্য অধরা হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু বিরাট কোহলির ভাবনায় ছিল অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখানোর তাড়না। হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গী করে চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং উপহার দিলেন তিনি। দলকে জিতিয়ে বললেন, এটাই তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস।
রোববার মেলবোর্নে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জিতেছে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের দুই নম্বর গ্রুপে শুভ সূচনা করেছে তারা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে কোহলি খেলেন ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস। মাত্র ৫৩ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৬ চার ও ৪ ছয়। বিপর্যয় সামলে চতুর্থ উইকেটে হার্দিকের সঙ্গে ৭৮ বলে ১১৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে কোহলি দেখান কেন তাকে সেরাদের কাতারের চূড়ায় বিবেচনা করা হয়।
অনুমিতভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। ভারতের দুর্দান্ত জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি, 'এটা একটা পরাবাস্তব পরিবেশ। আমার কাছে ভাষায় প্রকাশ করার শব্দ নেই। আমি জানি না কীভাবে কী ঘটল। আমি আসলেও কথা খুঁজে পাচ্ছি না।'
শেষ ৩ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৪৮ রান। হার্দিকের ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে বেগ পেতে হচ্ছিল। তাই দায়িত্ব একাই নিজের কাঁধে তুলে নেন কোহলি। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ নওয়াজের ওপর চড়াও হয়ে ম্যাচ বের করে আনেন তিনি, 'হার্দিকের বিশ্বাস ছিল যে আমরা পারব, যদি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকি। শাহিন যখন প্যাভিলিয়ন প্রান্ত থেকে বল করছিল, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে তার ওপর চড়াও হবে। হারিস তাদের সেরা ছন্দে থাকা বোলার। আর তাকে আমি ওই দুটি ছক্কা মারি। হিসাবনিকাশ ছিল সহজ। নওয়াজের এক ওভার বাকি ছিল। তাই আমি যদি হারিসকে পেটাতে পারি, তাহলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়বে। (ওই দুই ছক্কার কারণে) ৮ বলে ২৮ থেকে সমীকরণ ৬ বলে ১৬ রানে নেমে আসে।'
কোহলির দৃষ্টিতে এটাই ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে ব্যাট হাতে তার সেরা পারফরম্যান্স, 'এতদিন পর্যন্ত মোহালিতে (২০১৬ সালে) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা ইনিংসটি ছিল টি-টোয়েন্টিতে আমার সেরা। আমি ৫১ বলে (অপরাজিত) ৮২ রান করেছিলাম। আজ আমি করেছি ৫৩ বলে ৮২। দুটাই স্পেশাল। কিন্তু আজকের ইনিংসটাকে আমি এগিয়ে রাখব।'
Comments