নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াও বড় ব্যবধানে হেরেছে: সাকিব

লাল-সবুজ জার্সিধারীদের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই ফলকে দেখছেন স্বাভাবিকভাবে।
Bangladesh cricket team

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাট হাতে রাইলি রুশো ও কুইন্টন ডি কক তাণ্ডব চালানোর পর বল হাতে জ্বলে ওঠেন আনরিক নরকিয়া ও তাবরাইজ শামসি। তাতে ছারখার হয়ে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। তবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই ফলকে দেখছেন স্বাভাবিকভাবে।

বৃহস্পতিবার সিডনিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে নাস্তানাবুদ হয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১০১ রানে। তখনও বাকি ছিল ইনিংসের ২১ বল। সাকিব, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজরা বোলিংয়ে ছিলেন একদম বিবর্ণ। পরে ব্যাটিংয়ে তিনে নামা লিটন দাস ছাড়া আর কেউই টিকতে পারেননি।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসাবে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে হার। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো একশ বা তার চেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে পরাস্ত হলো তারা। আগের বিব্রতকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন তারা হয়েছিল ১৪ বছর আগে। করাচিতে পাকিস্তানের কাছে ২০০৮ সালে টাইগাররা হেরেছিল ১০২ রানে। সেদিন  স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে ২০৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল মোটে ১০১ রানে।

বিশ্বমঞ্চে লড়াইবিহীন হারে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। তবে দলনেতা সাকিব এমন ফল নিয়ে বাড়তি মাথা ঘামাতে নারাজ, 'নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় এখানে বড় ব্যবধানে হেরেছে। এরকম হবেই। টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোতে এরকম হয়। এটা খুব স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক কিছু না। খেলাটা অনেক রোমাঞ্চকর, চিত্তবিনোদনকর। সেইসঙ্গে এরকম কঠিন ফলগুলোও আপনাকে হজম করতে হবে।'

ব্যাটারদের ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদও দেন এই বাঁহাতি তারকা অলরাউন্ডার, 'ব্যাটিংয়ে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। বাউন্স ও পেসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। প্রথম ১০ ওভারে যদি আমরা ভালো ব্যাট করি, উইকেট হাতে রাখি, তাহলে শেষদিকে ব্যাট করা সহজ হয়। আমি এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সেটাই দেখছি। যে দলগুলো শেষ ১০ ওভারে উইকেট হাতে রাখছে, তারাই বড় রান করছে।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago