শান্তর ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে ১৫১ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

সুপার টুয়েলভে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ পেল লড়াই করার পুঁজি।
ছবি: এএফপি

ওপেনিংয়ে নেমে একপ্রান্ত আগলে লম্বা সময় টিকলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই বাঁহাতি ব্যাটার পেলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরির স্বাদ। শেষদিকে আফিফ হোসেন খেললেন আক্রমণাত্মক ইনিংস। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ পেল লড়াই করার পুঁজি।

রোববার ব্রিসবেনে দুই নম্বর গ্রুপের ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান তুলেছে সাকিব আল হাসানের দল। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দলের পক্ষে ৫৫ বলে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন শান্ত। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস।

জিম্বাবুয়ে ব্যবহার করে সাত বোলার। পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ২ ওভারে ১৩ রানে নেন ২ উইকেট। শুরুতে দারুণ বল করলেও ইনিংসের পরেরভাগে তাকে আর আক্রমণে আনা হয়নি। আরেক পেসার রিচার্ড এনগারাভার ২ উইকেট নিতে খরচা ২৪ রান। তবে জিম্বাবুয়ের ফিল্ডিং ছিল রীতিমতো দৃষ্টিকটু। বেশ কয়েকটি ক্যাচও হাতছাড়া করে তারা।

ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন সৌম্য সরকার। মুজারাবানির ডেলিভারি তার ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক রেজিস চাকাভার গ্লাভসে। ২ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি সৌম্য।

ক্রিজে গিয়েই পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে রানের খাতা খোলেন লিটন দাস। শান্তর সঙ্গে তার জুটি জমে ওঠার আভাস দিয়ে থামে। মুজারাবানির দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। টপ এজ হয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে লিটনের সংগ্রহ ১২ বলে ১৪ রান।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বিদায় নেন লিটন। প্রথম ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩২ রান। এই ঢিমেতালে এগোনোর পরিবর্তন হয় তৃতীয় উইকেট জুটিতে। একপ্রান্তে থিতু হয়ে যাওয়া শান্ত সঙ্গী হিসেবে পান অধিনায়ক সাকিবকে।

ব্রিসবেনের বিশাল মাঠে সিঙ্গেল-ডাবলের পাশাপাশি বাউন্ডারিও আসতে থাকে প্রায় নিয়মিত। শান্ত ও সাকিবের জুটিতে ডট বলের সংখ্যা ছিল খুবই কম। তাতে সচল হয় রানের চাকা। সাড়ে পাঁচের নিচে থাকা রান রেট উঠে আসে সাতের ওপরে।

দ্বাদশ ওভারে পূরণ হয় জুটির পঞ্চাশ রান। পরের ওভারে বাঁহাতি স্পিনার শন উইলিয়ামসকে আক্রমণে আনেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। বল হাতে নিয়েই দলকে ব্রেক থ্রু পাইয়ে দেন উইলিয়ামস। উড়িয়ে মারতে গিয়ে গড়বড় করে মুজারাবানিকে ক্যাচ দেন সাকিব। ৫৪ রানের জুটিতে সাকিবের অবদান ২০ বলে ২৩ রান।

ইনিংসের শুরুর দিকে হ্যামস্ট্রিং চোটের আভাস দেখা যাচ্ছিল শান্তর। মাঠের মধ্যেই ফিজিওর সেবাও নেন তিনি। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে থাকেন তিনি। ১৪তম ওভারে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন শান্ত। মিডউইকেটে বল ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে মাইলফলকে পৌঁছাতে তার লাগে ৪৫ বল।

ফিফটি পাওয়ার পর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন শান্ত। ১৬তম ওভারে ব্র্যাড ইভান্সের ওপর চড়াও হন তিনি। ১ ছক্কা ও ২ চারে ওই ওভার থেকে আসে ১৭ রান। একই ঢঙে খেলতে গিয়ে আউট হন শান্ত। সিকান্দার রাজার বলে আরভিনকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এতে ভাঙে ২১ বলে ৩৬ রানের জুটি।

শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৭ চার ও ১ ছক্কা। তার বিদায়ের পর আফিফ ছাড়া আর কেউ চালিয়ে খেলতে পারেননি। এনগারাভার শিকার হওয়ার মোসাদ্দেক হোসেন ১০ বল মোকাবিলায় করেন ৭ রান। রানআউটে কাটা পড়া নুরুল হাসান সোহান করেন ১ বলে ১ রান।

ইনিংসের শেষ বলে এলবিডব্লিউ হন দুবার ক্যাচ তুলে বেঁচে যাওয়া আফিফ। মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় একাদশে ফেরা ইয়াসির আলি রাব্বি অপরাজিত থাকেন ১ বলে ১ রানে। শেষ ৪ ওভারে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ঘুরে দাঁড়িয়ে মাত্র ৩০ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে।

Comments

The Daily Star  | English

3 buses set on fire within 10 minutes

The incidents were reported in the capital's Gabtoli, Agargaon, and Sayedabad

1h ago