১৭ বছরের ক্যারিয়ারে উইলিয়ামসের এমন ‘অদ্ভুত’ অভিজ্ঞতা প্রথম
নাটকীয় ও চরম উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের জন্য বিখ্যাত হয়ে থাকবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২। শেষ ওভার ও শেষ বলের নাটকীয়তার দেখা মিলছে একাধিক ম্যাচে। ভারত-পাকিস্তান, পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের পর বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচও ক্ষণে ক্ষণে পাল্টালো রঙ, বাংলাদেশ পেল স্মরণীয় এক জয়। ম্যাচ হেরে জিম্বাবুয়ের সিনিয়র ক্রিকেটার শন উইলিয়ামস বললেন, এবার শেষে বলে যা হলো, এমন অভিজ্ঞতা কখনোই হয়নি তার।
রোববার ব্রিসবেনের গ্যাবায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১৫০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ৬৯ রানের ভেতর পাঁচ জিম্বাবুইয়ান ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়েও স্বস্তি আসেনি। দারুণ জুটিতে দলকে খেলায় নিয়ে আসেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল। ম্যাচ চলে আসে শেষ ওভারের উত্তেজনায়।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের করা শেষ ওভারের শেষ বলে তাদের দরকার ছিল ৫ রান। এগিয়ে এসে উড়াতে গিয়ে ব্লেসিং মুজারাবানি পরাস্ত হন। সহজ স্টাম্পিং ভেবে আনন্দ করতে থাকে বাংলাদেশ। নাটকীয়তার বাকি ছিল তখনো।
বাংলাদেশের বাঁধনহারা উল্লাসের মাঝে জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার বার্ল ও মুজারাবানি আশা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রীজে। তাদের আশার পালে হাওয়া দেয় ডিআরএস, টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় উইকেটের সামনে হাত এনে স্ট্যাম্পিং করেছেন সোহান।
ফলে মুজারাবানির আউটের সংকেত মুহূর্তেই পাল্টে যায় নো বলে। জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের এক বলে পাঁচ রানের সমীকরণ বদলে দাঁড়ায় এক বলে চার রানে। বেরিয়ে যাওয়া খেলোয়াড়রা আবার ফেরেন মাঠে।
তবে মোসাদ্দেক আবারও সক্ষম হন ডট আদায় করে নিতে, স্নায়ুচাপ সামলে বাংলাদেশ পায় তিন রানের কষ্টার্জিত জয়।
১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম ৪২ বলে ৬৪ রান করে জিম্বাবুয়েকে ম্যাচে ফেরানো উইলিয়ামসের। ম্যাচের পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'একদমই অদ্ভুত। ক্রিকেট ম্যাচে এরকম কোন অভিজ্ঞতা কখনই হয়নি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি খেলাটাই এমন শেষ মুহুর্তেও কিছু একটার আশা থাকে।'
বাংলাদেশের পক্ষে ফিফটি হাঁকানো নাজমুল হোসেন শান্তর (৫৫ বলে ৭১) জন্যও এমন অভিজ্ঞতা নতুন, 'আমি কখনো এরকমটা প্রত্যক্ষ করিনি। আমার জন্য একদম নতুন, আমার মনে হয় দলের সবার জন্যই একদম নতুন। নতুন একটা অভিজ্ঞতা। স্বস্তি যে ফলটা আমাদের দিকে এসেছে।'
Comments