ছোট বাউন্ডারি একদমই পছন্দ করেন না সূর্যকুমার!
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি রান করেছেন সূর্যকুমার যাদব। প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক বছরে ১ হাজার টি-টোয়েন্টি রান করে গড়েছেন রেকর্ড। এই বছরে তিনি মেরেছেন ৫৯টি ছক্কা, যাতেও তার ধারেকাছে কেউ নেই। এমনকি চলতি বছর তারচেয়ে আর বেশি চারও কেউ মারতে পারেননি। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানালেন, এই ব্যাটিং সেনশেনের ছোট বাউন্ডারি নাকি খুবই অপছন্দ। বাউন্ডারি বড় হলেই তার খেলা ফুটে বের হয় আরও বেশি।
এই বছর ২৮টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৪৪.৬০ গড় আর ১৮৬.৫৪ স্ট্রাইকরেটে ১ হাজার ২৬ রান করেছেন সূর্যকুমার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১ সেঞ্চুরি আর ৯ ফিফটি। ছক্কা মেরেছেন ৫৯টি, চার ৯৩টি।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও উড়ন্ত ছন্দে আছেন এই তারকা। ৫ ম্যাচ খেলে ৭৫ গড় আর ১৯৩.৯৬ স্ট্রাইকরেটে তার রান ২২৫। তিন ম্যাচে করেছেন ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার বড় মাঠে ২৫ চার আর ৮ ছক্কা মেরেছেন তিনি। এই বিশ্বকাপেও চার মারায় বাকি সবার চেয়ে এগিয়ে তিনি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে নামার আগে বুধবার অ্যাডিলেডে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত জানান, সূর্যকুমারের পছন্দ বড় মাঠ, যাতে পাওয়া যায় বিস্তর ফাঁকা জায়গা, 'সে বড় মাঠে খেলতে পছন্দ করে। ছোট মাঠে খেলতে সে ঘেন্না করে। সে আমাকে একবার বলেছে, সে ছোট বাউন্ডারি পছন্দ করে না। ছোট মাঠে সে গ্যাপ দেখতে পায় না। সে বড় গ্যাপ পছন্দ করে। এটাই হচ্ছে তার শক্তির জায়গা।'
দলের পরিস্থিতি যাই হোক এই ডানহাতি খেলতে নামলে বোলারদের রীতিমতো শাসন করতে চান। চড়ে বসে মোড় ঘুরিয়ে দিতে চান খেলার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেমন ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরিস্থিতি থেকে খেলে ফেলেন ৪০ বলে ৬৮ রানের ইনিংস।
অধিনায়ক রোহিত তাই জানালেন, উইকেট পড়ে দল চাপে আছে কিনা এসব মাথায় নিয়ে খেলেন না সূর্যকুমার, 'আমি জানি না সাক্ষাতকারে তার কথা শুনেছেন কিনা। ১০ রানে ২ উইকেট হোক বা ১০০ রানে ২ উইকেট হোক সে এভাবেই খেলতে পছন্দ করে। সে মাঠে নেমে নিজেকে মেলে ধরতে চায়। এই কারণেই সে গত বিশ্বকাপের দলে ছিল। গত এক বছর ধরে সে এভাবে খেলছে। এখন আপনারা বিচার করতে পারবেন সে কী ধরনের খেলোয়াড়। ও এভাবে খেলতেই পছন্দ করে।'
সূর্যকুমার যে ছন্দে আছেন তাতে যেকোনো দলের বোলাররাই তার বিপক্ষে থাকবেন গভীর চিন্তায়। রোহিত মনে করেন বাকি সবার চাপ সরিয়ে দিতে তাদের দলে সেরা অস্ত্র টি-টোয়েন্টির এই এক নম্বর ব্যাটার, 'দেখুন এই বিশ্বকাপের আগে গোটা বছর সে কি করেছে। আমরা বলি একমাত্র আকাশই হচ্ছে তার সীমা। সে পরিপক্বতাও দেখাচ্ছে। বাকিদের থেকে চাপও সরিয়ে নিচ্ছে। সে যখন ব্যাট করে অন্য প্রান্তে চাপ একদম থাকে না।'
Comments