‘আমরা একটি বন্দিশালায় অজান্তেই ঢুকে পড়লে দেখতে পাই, সেখানে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছে—কয়েকটিতে টাইমারও লাগানো ছিল। এটা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তদন্ত পরিচালনাকারীদের হত্যার সুস্পষ্ট চেষ্টা ছিল,’...
অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দৃশ্যমান কোনো সংস্কার হয়নি বলেও হতাশা প্রকাশ করেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
'এই কক্ষগুলো ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মনিটর করা হতো'
‘মাঝে মাঝে ২৪ ঘণ্টা চোখ বেঁধে, হাত বেঁধে বসিয়ে রাখতো। উঠতে দিতো না, দাঁড়াতে দিতো না। কেন (বসিয়ে রেখেছেন) প্রশ্ন করলে বলতো, স্যার আসবেন’—এভাবে গোপন কারাগার আয়নাঘরে কাটানো সময়ের বর্ণনা দিলেন...
‘বাংলাদেশে যেন আর কখনো গুমের মতো মানবতাবিরোধী কিছু না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।’
‘যতক্ষণ রুমে থাকতাম, ততক্ষণ চোখ খোলা থাকত, হাতকড়া খুলে দিত।’
শুধু ঢাকায় নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আয়নাঘর ছিল বলে জানান তিনি।
আয়নাঘরে বেশ কয়েকটি খুপরি দেখা যায় যেখানে দিনের বেলাতেও আলো প্রবেশ করে না। নেই বাতাস চলাচলেরও কোনো ব্যবস্থা। এরকম একটি আয়নাঘর দেখে তাকে মুরগির খাঁচার সঙ্গে তুলনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে ডিজিএফআইয়ের সেই দুই টর্চারসেল চিনতে পারার কথা জানিয়েছেন নাহিদ ও আসিফ।
কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারগুলো বিরোধীপক্ষের কণ্ঠরোধ করতে এই পন্থা অবলম্বন করে থাকে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী মত দমনে এই ঘৃণ্য পথ বেছে নেয় শেখ হাসিনার সরকার।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন জমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আয়নাঘরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। সেইসঙ্গে তাদের নির্দেশ না মানলে ফিরোজের পরিবারের সবাইকে তুলে নিয়ে আসারও হুমকি দেওয়া হয়।
তার মুখে শুনব কীভাবে তাকে গুম করে রাখা হয়।
‘এটাও জানতে চেয়েছিল, আমি কীভাবে জানলাম যে ভারতীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’
এতটাই তীব্র মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে মাইকেলকে যে এক পর্যায়ে তিনি সেখানকার সুপারভাইজারকে অনুরোধ করেন, তাকে যেন মেরে ফেলা হয়।
বর্ণনাগুলো একত্র করলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, ডিজিএফআই এর মধ্যে অনেকগুলো গুমের ঘটনায় জড়িত ছিল। ডিজিএফআই প্রধানরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছে জবাবদিহি করেন।
তার মুখে শুনবো আয়নাঘরের নির্মম নির্যাতনের কথা।
কয়েকদিন আগেও যারা এসব সংস্কারের জোরালো আহ্বান জানিয়েছিলেন, তারাই এখন পাশার দান বদলে যাওয়ায় সেই উদ্বেগ গায়ে মাখছেন না বলে মনে হচ্ছে।
ডিজিএফআই কার্যালয়ের পর এবার গোয়েন্দা বিভাগ এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম অফিসে পাওয়া গেল আয়নাঘর।