হামলা-পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে ১২ দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও ইরান।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
ইরানের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যেকোনো আগ্রাসনের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে মার্কিন হামলাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমায় পরমাণু বোমা হামলার সঙ্গে তুলনা করেন ট্রাম্প।
‘যুদ্ধবিরতি’ ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলে চতুর্থ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নাগরিকদের বাংকার থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানানোর কিছু সময় পরই আবারও এই সাইরেন বাজানো হয়েছে।
ইরান এ প্রণালী বন্ধ করে দিলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহে সঙ্কট তৈরি হবে।
‘ক্রেমলিন ইরানের জনগণকে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।’
তেহরান ছাড়াও উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ এবং দক্ষিণাঞ্চলের শিরাজ শহরেও প্রতিবাদ মিছিল হয়।
তবে সত্যি যদি ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে শাসন করে আসা এই নেতার পতন হয়। তাহলে ইরানে কী হবে তা এখনো অনিশ্চিত।
এক কর্মকর্তা বলেন, এই অভিযান ইরানি শাসনের শক্তি ও অভ্যন্তরীণ সংহতির সক্ষমতাকে ধ্বংস করার জন্য।
বাস্তবতা হচ্ছে—ইসরায়েল আরব দেশগুলোর মতো ইরানকে ছয় দিনে পরাজিত করতে পারেনি।
ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন, কিন্তু দেশটিতে হামলা চালানো হবে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান—ইরানের কর্মকর্তারা ‘হোয়াইট হাউসে আসতে পারেন’। যদিও তিনি বলেছেন, এটি কঠিন হবে।
নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনা থেকে তেজস্ক্রিয় ও রাসায়নিক বিকিরণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তেহরানে প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি আছেন এবং দূতাবাসে প্রায় ৪০ কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন।
তিনি বলেন, হরমুজ প্রণালী ঘিরে তেল সরবরাহে বিঘ্ন বা দামের ঝুঁকি থাকলেও সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।