বাসের টিকিট না পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দশটায় খালি গরুর ট্রাকে ওঠেন।
যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত বাসের টিকিট পাচ্ছিলেন না।
যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট
তিনি বলেন, আমরা বাস মালিকপক্ষকে অনুরোধ করেছি কোনো অদক্ষ ড্রাইভার কোনোভাবেই যেন বাস চালাতে না পারে।
সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, ঈদযাত্রা শুরুর আগে সংস্কারকাজ বন্ধ রেখে দুই লেনে যান চলাচল চালু করা হবে।
ঈদ উপলক্ষে নিয়মিত ট্রেনগুলোর পাশাপাশি পাঁচটি রুটে ১০টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এই বিশেষ ট্রেনগুলো ঈদের আগে ৪ থেকে ৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে।
মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার দীর্ঘ ছুটির কারণে ধাপে ধাপে বাড়ি ফেরার সুযোগ হওয়ায় দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
বেশিরভাগ ট্রেন সময়মতো পৌঁছেছে। প্রধান মহাসড়কগুলোতে যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ঢাকা ময়মনসিংহ-মহাসড়কের বোর্ড বাজার থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে যানবাহন। মহাসড়কের গাজীপুরা থেকে চৌরাস্তা হয়ে সালনা পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়েছে।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ডে দেখা মিলল এমন চিত্রের।
আজ বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
দীর্ঘ জটে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন, বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ।
রাজধানী থেকে বের হবার অন্যতম পথ ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে গাড়ি। ঈদের ছুটির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকে ঘরমুখো যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় যানবাহনের চাপও বেড়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তরের পথে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত গাড়ির চাপে রোববার রাতে সংযোগ সড়ক ছাড়িয়ে সেতুর ওপর পর্যন্ত যানজট থাকলেও আজ সারাদিন বড় ধরনের যানজট তৈরি হয়নি।
রাতে কল্যাণপুর, শ্যামলী ও গাবতলীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বাস কাউন্টারগুলোতে বেশ কিছু সংখ্যক যাত্রী আছে। দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন তারা।
টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে প্রতিদিন উত্তরের ১৬টিসহ মোট ২৩ জেলার প্রায় ১১৬ রুটের ১৮-২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদে এই সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়।
ঈদের ছুটিতে দেশে মোটরযান চলাচলের সুবিধার্থে ২৪ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ১৩ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
তিনি সড়ক অথবা নৌপথে কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে পশুবাহী গাড়ির সামনে গন্তব্যস্থান/পশুর হাটের নাম উল্লেখ করে ব্যানার টাঙানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
এর মধ্যে ৩ লাখ যাত্রী নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর দিয়ে এবং বাকি ২৭ লাখ যাত্রী ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল দিয়ে যাবেন।