গবেষণায় দেখা যায়, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘরের কাজ করেন, যা তাদের সমবয়সী পুরুষদের চেয়ে চার গুণ বেশি। এমনকি ৬৫ বছরের বেশি বয়সী নারীরাও পুরুষের তুলনায় দ্বিগুণ সময়...
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, তুলনামূলকভাবে কম কর্মী নিয়োগ করেও কিছু খাতে বেশি মূল্যের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। এতে নতুন কর্মসংস্থান না হলেও জিডিপিতে বড় অবদান রাখা সম্ভব হচ্ছে।
গত দুই দশক ধরে দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভালো হলেও সে অনুযায়ী কর্মসংস্থান বাড়েনি, বরং যুবকদের মধ্যে বেড়েছে বেকারত্বের হার।
২০২২ ও ২০২৩ সালে বাংলাদেশে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৭ শতাংশেই স্থির হয়ে আছে।
তবে একই সময়ে বেকার নারীর সংখ্যা ৩ শতাংশ কমে সাড়ে ৮ লাখে দাঁড়িয়েছে
বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মকর্তার অনুপাত সবচেয়ে বেশি, যা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
‘যে নারীরা এখানে সম্পৃক্ত হয়েছেন, তারা তাদের আয় থেকে পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ করেন, কেউ কেউ ছোট ভাই-বোনদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন।’
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বেকারত্বের হার ছিল তিন দশমিক ৫৩ শতাংশ। আবারও ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হবে এই হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো।
দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও শিল্প খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
জনমিতিক লভ্যাংশের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন সুবর্ণ সময় পার করলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, উপযুক্ত কর্মসংস্থান না থাকায় দেশের শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্বের হার দিনকে দিন বাড়ছে।