ঢাকার মিরপুর এলাকার খুচরা বিক্রেতা নুরুল আলম সিকদার জানান, তিনি গতকাল এক ডজন ডিম ১৬০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৫০ টাকা।
পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের ওপর শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)।
‘এখান থেকে এসএমএসের মাধ্যমে সারা দেশে ডিম কী রেটে বিক্রি হবে সেটা নির্ধারণ করে দেওয়া হতো।’
তারা বলেন, উন্নত দেশের মানুষ যেখানে বছরে গড়ে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০টি ডিম খায় সেখানে সরকারি হিসাবে আমাদের দেশে এ সংখ্যা ১৩৬টি।
তিন হিমাগারকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে ডিমগুলো বাজারজাত না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
রাজধানীর খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী ডিমের মজুদ আটকে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন।
অন্য ডিমের সঙ্গে পার্থক্য?
এক মাসের ব্যবধানে খামার পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ৩ থেকে সাড়ে ৩ টাকা কমে যাওয়ায় লোকসান গুনছেন পোল্ট্রি খামারিরা।
অর্থনীতিবিদরা সাধারণত পণ্যের দাম বেধে দেওয়ার বিরোধিতা করেন। কেননা, এধরনের উদ্যোগ অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দাম অনুসরণ করা হয় না। তাই মানুষের ভোগান্তিও কমে না।
বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
শুধু অভিযান চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। অর্থনীতিবিদদের মতে, যারা ভ্যালু চেইনে আছেন, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
পর্যায়ক্রমে সব সুপারশপে অভিযান চালানো হবে
আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ নিত্যপণ্য এবং স্যালাইনের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাজার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সরকার এনফোর্স করবে ঠিকই, তবে ব্যবসায়ীদেরও মেনে চলা উচিত।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার অভিযানে ৮২টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
‘কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে।’
ক্রেতাদের বক্তব্য, আগেও কয়েক দফায় ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেঁধে দিয়ে তা কার্যকর করতে পারেনি সরকার। তাই পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের ক্ষেত্রে যে এটা কার্যকর হবে, সে ব্যাপারে খুব একটা আশবাদী হতে পারছেন না তারা।