‘নদীর গর্জনে ঘুম ভেঙে উঠে দেখি ভিটে নদীতে। প্রতিবেশীরা চিৎকার করতে করতে ছুটে আসছে। মুহূর্তের মধ্যে ঘরটা চলে যায় যমুনায় ভাঙনে।’
তিস্তাপাড়ের পাঁচ জেলার ১৩০ পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ নিষ্ক্রিয় প্রশাসন, পাউবোর ভাষ্য তহবিল সংকটে আটকে গেছে উদ্যোগ
স্থানীয়রা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বালু তোলার কারণে পারের ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। এ ছাড়াও, পানি দূষিত হয়ে তীরবর্তী মানুষদের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে প্রায় ৫-৬ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
যমুনা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলে মূলত চরাঞ্চলের শিশুরা পড়ালেখা করে। স্কুলটি নদী গর্ভে বিলীন হলে প্রায় ৫০০...
গ্রামের লোকজন বসতভিটা হারিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন সরকারি রাস্তার ওপর ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে
ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকার বন্যা ও নদী ভাঙনের কারণে বাস্তুচ্যুত দরিদ্র পরিবারের কাছে ঈদুল আজহার আনন্দ অধরাই রয়ে গেছে।
চলতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয়...
আকস্মিক বন্যার পর কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বসতভিটা, আবাদি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদীর ভাঙন অব্যাহত আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ওই এলাকায় জরুরিভিত্তিতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন রোধ করতে...
সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। তবে বন্যার ভয়াবহতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে নদীভাঙন।
নদ-নদীর পানি কমায় কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। রাস্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া বানভাসিরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মা নদীর পাড়ের অন্তত ১০ মিটার অংশ বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে ৯০ মিটার দূরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান।
প্রমত্তা পায়রার অব্যাহত ভাঙনে বরগুনার তালতলী ও আমতলী উপজেলার ৬ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ তাদের বসতবাড়ি, কৃষি জমি হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
ট্রাক চলাচলের জন্য ধলেশ্বরী নদীতে বালু ফেলে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার রানাদিয়া এলাকায় নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। চলছে বালু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।