প্রাকৃতিক দুর্যোগ

চরভদ্রাসনে পদ্মায় ভাঙন, ঝুঁকিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মা নদীর পাড়ের অন্তত ১০ মিটার অংশ বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে ৯০ মিটার দূরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান।
সোমবার বিকেলে বালুভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে তলিয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মা নদীর পাড়ের অন্তত ১০ মিটার অংশ বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে ৯০ মিটার দূরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান।

সোমবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে এ ভাঙনের ঘটনা ঘটে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, নদীর ওই অংশে গত বছরের বর্ষায়ও ভাঙন দেখা দিয়েছিল। সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধ করেছিল।

এবারও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তবে যেখানে এগুলো ফেলা হয়েছে, সেখানেই নতুন করে এ ভাঙন দেখা দেয়।

স্থানীয়রা জানান, এ ভাঙন অব্যাহত থাকলে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের মুখে পড়বে। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়টি থেকে ভাঙনকবলিত এলাকা ৯০ মিটার দূরে আছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদ্মার সঙ্গে লোহারটেকের সংযোগস্থলে সোমবার দুপুর ২টার দিকে তীব্র স্রোত দেখা যায়। এরপরই পানিতে বুদবুদ সৃষ্টি হয়ে বালুভর্তি ডাম্পিংকৃত জিও ব্যাগ নদীতে তলিয়ে যেতে থাকে।

সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হঠাৎ ভাঙনে বিদ্যালয়টি হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিদ্যালয়ে ১৩৫ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। স্কুলটি নদীগর্ভে চলে গেলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুযোগ থাকবে না।'

যোগাযোগ করা হলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার বিকেলে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। মঙ্গলবার থেকে এ ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আগামী শুকনো মৌসুমে স্কুল সংলগ্ন নদীর ওই অংশে স্থায়ী কাজ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে গত বছর অস্থায়ী কাজ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই জায়গায় নদীর তীরের ২০০ মিটার অংশে ব্লক দিয়ে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ চলমান আছে। কাজটি শেষ করা যায়নি।'

Comments