‘এই রাষ্ট্রকে তারা সত্যিকার অর্থে গভীর পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে৷ দেশে এখন আওয়ামী লীগ নাই, সব পুলিশ লীগ।’
আজকে আমরা এখানে উনার সাথে দেখা করেছি। এটি পুরোপুরি সৌজন্যমূলক একটি সাক্ষাত ছিল। এখানে আমরা কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি।
‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণকে অরক্ষিত রেখে এরা বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’
‘যখন কোনো কিছু করতে পারে না, বের করতে পারে না, তখন দোষ চাপাতে হয়। তখন জঙ্গি খুঁজে বের করে।’
‘এটা ভয়াবহ, একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’
বর্তমান সংকট সমাধানে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
‘সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না।’
‘রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানান কায়দায় দমন-পীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।’
‘৪৭টি মামলা সম্পূর্ণ বেআইনি। একদম মিথ্যা মামলা, কোথাও কোনো কিছু ঘটেনি। কিন্তু মামলা হচ্ছে।’
‘আজকে দেশকে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে। এই বিভক্তির রাজনীতি আমরা চাই না।’
তিনি বলেন, আপনারা সন্ত্রাসের বাবা। আপনারা এই রাষ্ট্রটাকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছেন। রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুরোপুরি সন্ত্রাসের রাজত্ব বানিয়ে আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছেন।
‘এক কমিউনিটি ক্লিনিক সহ্য হলো না। পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেন ক্ষমতায় গিয়ে। শেখ হাসিনার স্মৃতি রাখবেন না। যদি কোনো কারণে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের দেখা পান, তখন কি এই পদ্মা সেতু ভাঙবেন?’
‘এখন আওয়ামী লীগের যে বক্তব্য, তাতে ওই কথাই প্রধান হয়ে উঠে আসে—আরে এটা তো আমার সম্পত্তি, তুমি আবার এর মধ্যে কোত্থেকে নাক গলাও! এই জিনিসটা এসে গেছে তাদের মধ্যে’
সরকার পতনের একদফা দাবিতে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
‘নতুন মামলা দেওয়ার দরকার কি! বিএনপির একেকজন নেতাকর্মীর নামে আগেই তো ৩০০-৪০০ করে মামলা দিয়ে রেখেছে। সব বানোয়াট মামলা, গায়েবি মামলা।’
‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব।’
‘২০১৪ সালে যা করতে পেরেছেন, ২০১৮ সালে যেটা করতে পেরেছেন, এবার সেই নির্বাচন আপনি করতে পারবেন না। কারণ, এবার মানুষ যেভাবে দাঁড়িয়েছে ঘুরে, তাতে সেটা সম্ভব হবে না।’
‘এই সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। এদেরকে সরকার বলা যায় না, এরা শাসক। তার প্রমাণ এদের কথার মধ্যে দেখবেন’