নৈরাজ্য এড়াতে নির্বাচন চাচ্ছি: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

জনসমর্থন ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার লাকসাম স্টেডিয়ামে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'ফ্যাসিবাদ আমাদের সব অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করেছি। অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছি।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সরকার ছাড়া দেশ চলতে পারে না। সেজন্য ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর সরকার গঠন হয়েছে। তারা কাজ শুরু করেছে। সেজন্য আমরা এ সরকারকে সমর্থন দিয়েছি।' 

'আওয়ামী লীগের সময় লাকসাম ছিল সবচেয়ে নির্যাতিত এলাকা' মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'এখানেই প্রথম হিরো ও হুমায়ুনকে গুম করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ড হয়েছে, বাড়িঘর ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে।' 

মির্জা ফখরুল বলেন, '২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করেছে। আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী হয়েছিল। তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল।'

নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, 'সংস্কারের কথা বলে অনেকে নির্বাচন পেছানোর কথা বলছেন। সংস্কার সাধারণ মানুষ কয়জন বোঝে? দুইবেলা ভাত, মাথার গোঁজার ঠাই, চিকিৎসা, শিক্ষা ও শান্তি চায় মানুষ। জনগণের কাছে এই মৌলিক অধিকারগুলোই হচ্ছে সংস্কার।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'এ সরকার সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন করেছে। আমরা শিগগির নির্বাচন চাচ্ছি। কেননা আমরা জানি জনসমর্থন ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব নয়।'

তিনি বলেন, 'আমরা নৈরাজ্য এড়াতে নির্বাচন চাচ্ছি। রাজনৈতিক সরকারই সংস্কার করতে পারে, কারণ তাদের জনসমর্থন থাকে। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা দয়া করে জনগণকে অনিশ্চয়তার মধ্যে না রেখে দ্রুত নির্বাচন দেন।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

10h ago