ভর্তুকি তুলে নিতে ধাপে ধাপে দাম বাড়বে
‘ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ভোজ্য তেলে ট্যারিফ কমানো হয়েছে। এতে বাজারে প্রতি লিটারে অন্তত ছয় টাকা কমানো উচিত ছিল কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে কমানো হয়নি।’
যদিও বছরের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা, তবে এবারের চিত্র ভিন্ন।
বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও বাড়েনি নিম্নবিত্ত মানুষের আয়। এ অবস্থায় কীভাবে চলছেন নিম্ন আয়ের মানুষ? কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না...
এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতি উত্তরণে এবং জনদুর্ভোগ নিরসনে সরকারকে শিগগির কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান এ কথা বলেন।
‘২-৩ দিন পর মরিচের দাম এত বেশি থাকবে না। তবে ২০০ টাকার নিচে মনে হয় না মরিচ পাওয়া যাবে। কারণ, এ বছর তাপপ্রবাহের কারণে মরিচের গাছ মরে যাওয়ায় উৎপাদন কম হয়েছে।’
‘দাম বাড়ায় মানুষ কিনছে কম।’
বাংলাদেশ যেহেতু অনেক ধরনের পণ্য আমদানি করে থাকে, বৈশ্বিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি আমাদের এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির একটি কারণ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও...
কৃচ্ছ্রসাধনে ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। ফলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ডিজেলের দাম আবারও বাড়ছে।
আমন ধানের চাল ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে এলেও প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। অন্যদিকে কয়েক দিনের ব্যবধানে চিনিগুঁড়া চালের দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
কোনো ধরনের গণশুনানি ছাড়াই সরকার এখন থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতে পারবে।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তকে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনপি। এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে জনগণই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে দলটি।
বিদ্যুতের দামবৃদ্ধিকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম।
পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাইকারি পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম হবে ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ছিল...
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারেও খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপণ্যের দাম ১০০ শতাংশ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। জ্বালানির দামও হয়েছে দ্বিগুণ।
আপাতত জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ভোজ্যতেলের দাম কম রাখতে এর আমদানি ও পরিশোধনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কম রাখার সিদ্ধান্ত আরও ৩ মাসের জন্য বাড়াতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল সরবরাহ ঘাটতির কারণে সরকার ভারতের কাছ থেকে জ্বালানি তেল কেনার কথা ভাবছে। এ বিষয়ে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।